ডেস্ক নিউজ:
নানা সময়ে আলোচনায় উঠে আসা মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌয়ের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুই মামলায় তিন দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ পৃথক দুই থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি দুইজনকে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেককে দুই মামলায় তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
পুলিশ বলছে, দুই মডেলের বিরুদ্ধেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলা দুটি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মৌ আক্তারের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে ডিবির পরিদর্শক শিশির কুমার। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মৌয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে।’
এদিকে গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ডিবির পক্ষ থেকে ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তাঁর বাড়িতে অভিযান চালালে মদসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে।’
গতকাল রোববার রাতে মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার বারিধারার নয় নম্বর রোডের তিন নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তাকে আটক করে ডিবি। এ ছাড়া মোহাম্মদপুরের বাবর রোড এলাকার বাসা থেকে মডেল মৌ আক্তারকে আটক করে পুলিশ। এ সময় মাদক উদ্ধার করা হয়।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ গতকাল রাতে জানান, পিয়াসা ও মৌ দুজনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আছে। তার মধ্যে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ গুরুতর। এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মহিদুল ইসলাম গভীর রাতে বলেন, ‘কিছু নির্দিষ্ট কারণে পিয়াসার বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযান চালিয়ে তাঁর বাসা থেকে বেশ কিছু বিদেশি মদ, ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এই সময় তাঁর একাধিক মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।’
২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন এই পিয়াসা। এ ছাড়া চলতি বছর গুলশানের মুনিয়া আত্মহত্যাকাণ্ডে তাঁর নাম আবার আলোচনায় আসে।