১২ দিন আগে নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়ে বন্যা বলেছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় থেকেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রোববার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসার পর থেকে বাসাতেই আছি।”
৬৩ বছর বয়সী এ সংগীতশিল্পী জানান, মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের মত তার নমুনা নেওয়া হবে পরীক্ষার জন্য। এবারের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসবে বলে আশা করছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপারসন বন্যা রবীন্দ্রসংগীতের জন্য দেশে-বিদেশে খ্যাতি পেলেও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তনও গেয়েছেন।
১৯৫৭ সালের ১৩ জানুয়ারি রংপুর জেলায় জন্ম নেওয়া বন্যা প্রথমে ছায়ানট এবং পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। সেখানে শান্তিদেব ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন ও আশীষ বন্দ্যোপাধায়ের মত সংগীতজ্ঞদের সান্নিধ্যে আসেন তিনি।
সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারার’ প্রতিষ্ঠাতা বন্যা রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে কয়েকটি বইও লিখেছেন।
সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার পান বন্যা।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ‘বঙ্গভূষণ’, ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এ শিল্পী