দীর্ঘ চার মাস চার দিন পরে নিজ দেশে ফিরলেন দেশা দ্যা লিডার খ্যাত অভিনেতা শিপন মিত্র। তিনি গত ফেব্রুয়ারী মাসে নিজের ব্যক্তিগত কিছু কাজে এবং পরিচালক ইফতেখার চৌধুরীর সিনেমার ভিসা সংক্রান্ত কাজে কোলকাতা যান।
কিন্তু বিধিবাম ততদিনে সারা বিশ্বব্যাপী করোনার ভয়াল থাবা কোলকাতা নগরীতে ও এসে পড়েছে। যার ফলশ্রুতিতে ভিএসএফ নামে তাদের ভিসা প্রসেসিং এর অফিস বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশের অনেকের সাথেই আটকে পড়েন এ অভিনেতা। সাথে ছিলেন সাঞ্জু জন, ইমতু রাতিশ ও তন্ময় ঘোষ। শুরু হয় প্রতিক্ষার প্রহর গোনা, সাথের সহ শিল্পীরা হোটেলে অবস্থান করলেও শিপন ভারতের সঙ্গীত শিল্পী রাজ বর্মন এর বাড়িতে ছিলেন। তাদের প্রতি তিনি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। রাজ বর্মনকে তিনি নিজের ভাই বলেই মনে করেন, আর তার বাবা মা কে শিপন বাবা মা বলেই ডাকেন এতটাই গভীর সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন তারা। শিপন বলেন তাদের
ঋন কখনোই শোধ করবার নয়।
অনেক বার যোগাযোগ এর পরে আইসল্যান্ড এমবাসি ১৩ ই জুন তাদের পাসপোর্ট পাঠায়। পাসপোর্ট হাতে পেয়ে আর এক মুহূর্ত দেরী করেননি, সড়কপথেই তারা দেশে ফিরে এসেছেন। শিপন এখন রুম কোয়ারান্টাইন এ আছেন কারন ঘরে মা এবং বৃদ্ধা নানী রয়েছেন, তাই সবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শিপন জানান কোলকাতা যাওয়ার আগে চার পাঁচটি ছবির কাজ প্রায় শেষ করে গিয়েছিলেন, পুরোদমে শুটিং শুরু হলে ছবির বাকী কাজ শেষ করবেন। আর নতুন কজের বিষয়ে কথা হচ্ছে কনফার্ম হলেই সবাইকে জানাবেন।
শিপন জানান করোনা ভাইরাস এবং লকডাউনের সময়ে অনেক বিষয়ে গভীর ভাবে উপলব্ধি করেছেন। যখন কোলকতায় লকডাউনে বন্দী ছিলেন তিনি নিজের ধৈর্য্য শক্তি অনেক বেড়েছে বলে মনে করেন। আর একটা বিষয় সবচেয়ে বেশি অনুভব করেছেন তা হলো দেশের প্রতি গভীর টান। এই চার মাস দেশ থেকে দূরে থেকে প্রতিটি মুহূর্ত দেশকে মিস করেছেন তাই সবার প্রতি শিপনের অনুরোধ সবাই দেশকে ভালবাসুন, মাতৃভূমির জন্য কাজ করুন।