পাকিস্তানের করাচিতে আবাসিক এলাকায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৯২ জন নিহত হয়েছে।এ দুর্ঘটনায় অন্তত দুইজন বেঁচে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।পাকিস্তানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ঈধি ফাউন্ডেশনের হিসেবে, আহত ২৫ জন স্থানীয়কে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের ঠিক আগ মুহূর্তে পাশের মডেল কলোনি এলাকায় আছড়ে পড়ে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের এ-৩২০ উড়োজাহাজটি। ৯৯ আরোহী নিয়ে বিমানটি লাহোর থেকে ছেড়ে এসেছিল বলে জানিয়েছেন পিআইএ’র মুখপাত্র আব্দুল্লাহ হাফেজ। জনবহুল এলাকায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ জানান সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর ইমরান ইসমাইল। বেশ কয়েকটি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।পিআইএ’র প্রধান নির্বাহী এয়ার মার্শাল আরশাদ মালিক জানান, অবতরণের আগে কন্ট্রোল রুমে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানান বিমানের পাইলট।সে কারণে অবতরণ না করে আকাশেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন পাইলট।কিন্তু শেষ রক্ষা হলো হয়নি।পিআইএ’র মুখপাত্র আবদুল সাত্তার জানান, বিমানটি বিধ্বস্তের পরপরই উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।করাচির সব হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।হতাহতের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা কল্যাণমন্ত্রী। ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় হতাহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।