ডেস্ক নিউজ:
তীব্র দাবদাহের কারণে ৬ দিনে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬’শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে কানাডাতেই প্রাণ গেছে ৫ শতাধিকের। তাপমাত্রা বাড়ায় কানাডায় দেখা দিয়েছে দাবানল।ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কানাডার দাবানল কবলিত এলাকা থেকে ১ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গরম বাড়ার পূর্বাভাসে যুক্তরাষ্ট্রেও দাবানলের আশঙ্কা রয়েছে।
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে কানাডার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। টানা ৩ দিন ধরে ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙ্গছে দেশটি। মঙ্গলবার দেশটির ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশটির এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ১৯৩৭ সালে কানাডার তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল।
তাপদাহের কারণে দেখা দিয়েছে দাবানল। আগুনে পুড়ে গেছে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার, লিটন নামের এই গ্রাম। মাত্র ১৫ মিনিটে পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে দাবানল।
এদিকে নজীরবিহীন এই গরমে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তাপদাহের কারণে দাবানলের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় তার সরকার প্রস্তুত রয়েছে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রেও বেড়েছে তাপমাত্রা। দেশটির অরেগন, পোর্টল্যান্ড, ওয়াশিংটনসহ বেশ কিছু জায়গায় দেখা দিয়েছে অসহনীয় গরম। গত ৬ দিনে ১শর বেশি মৃত্যু হয়েছে। যাদের বেশির ভাগের মৃত্যু হয়েছে হাইপারথার্মিয়ায়।
দাবানলের আশঙ্কায় রাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন অরিগন গভর্নর কেট ব্রাউন। এছাড়া ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে আতশবাজি নিষিদ্ধ করেছে পোর্টল্যান্ড।
চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড সংখ্যক দাবানলের সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছন দেশটির দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ। এর কারণ হিসেবে, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ি করছে গবেষকরা।