কাজী সামছুজ্জোহা মিলন মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ ১৭ জুন ২০২১
নওগাঁর মহাদেবপুরে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন ৮৯ জন। গত সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৭০। চলতি সপ্তাহের গত পাঁচ দিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ জন এবং মারা গেছেন একজন। এই পাঁচ দিনে সুস্থ হয়েছেন ১১ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গতবছর ১৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত এই উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬০ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬৬ জন, আর মারা গেছেন পাঁচজন। সেই হিসেবে এখানে এখন করোনা রোগী আছেন ৮৯ জন।
গত রোববার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের ভালাইন গ্রামের কসির উদ্দিনের ছেলে আয়েজ উদ্দিন (৭৮)। এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতবছর ৩০ জুন মারা গেছেন উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের আইনাল হক, ৩ জুলাই মারা গেছেন উপজেলা সদরের আত্রাই নদীর বাঁধ সংলগ্ন মৃত ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে দবির উদ্দিন (৭৫), ৯ আগষ্ট মারা গেছেন উপজেলা কমপ্লেক্সের পশ্চিম গেট সংলগ্ন মৃত খন্দকার শামসুল আলমের ছেলে খন্দকার হাবিবুল আলম হাবিব (৫৭) আর এবছর ২৮ মে মারা গেছেন উত্তরগ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩৫)। এ সপ্তাহের শুরুতে ১১ জুন আক্রান্ত হয়েছেন চারজন। এরা হলেন, মহাদেবপুর উপজেলা সদরের লিচুবাগানের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান (৫০), ভীমপুর ইউনিয়নের স্বরসতিপুর গ্রামের খমিজ উদ্দিনের ছেলে ইউসুফ আলী (৩২), খোর্দনারায়ন গ্রামের আনিস আলীর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৬৩) ও চাঁন্দাশ গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে এরফান আলী (৩২)।১২ জুন আক্রান্ত হয়েছেন মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বকের মোড় চেয়ারম্যান পাড়ার সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ধলুর ছেলে মাহমিদ ইবনে মাহমুদ সাদ (১৪), সদর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের খালেদা বেগম (৫২), এনায়েতপুর ইউনিয়নের হেলালপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে কামরুজ্জামান (২৮) ও ভীমপুর ইউনিয়নের পাতনা গ্রামের উম্মে জাহান সম্পা (৩৮)।১৩ জুন আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন। এরা হলেন, মহাদেবপুর বাজার সোনারপট্টির নুরুন্নবীর স্ত্রী সকিনা নবী (৫০), মহাদেবপুর কলেজ রোডের মৃত গণেশ কুমার খৈতানের ছেলে কমল কুমার খৈতান (৫৭), মহাদেবপুর দুলালপাড়ার রুহিন প্রামানিকের ছেলে বিশ^জিৎ প্রামানিক (৪০), মহাদেবপুর কাচারীপাড়ার প্রফেসর ফজলুল করিমের ছেলে তানভির (৩২), মহাদেবপুর ভোকেশনাল রোডের মৃত হাফেজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম (৫০), তার স্ত্রী নাজমা পারভীন (৪০), গোপালপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে দুলাল হোসেন (৩১), উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের ইনতাজ আলীর ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৪), শিবগঞ্জ বাজারের রুবেল মোল্লা (২৪), এনায়েতপুর গ্রামের মামুনের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন (৩২), একই গ্রামের মৃত আসমত আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৬৫), হাতুড় ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের আইনুল হকের স্ত্রী আঞ্জু আরা (৫০), রাইগাঁ ইউনিয়নের মাতাজীহাটের রইচ উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫) ও চাঁন্দাশ গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানে স্ত্রী সাহেরা বেওয়া (৪৫)।১৪ জুন আক্রান্ত হন সাতজন। এরা হলেন, সদর ইউনিয়নের জোয়ানপুর গ্রামের মৃত ইয়াছিন হোসেন আনসারীর ছেলে মুসা আনসারী (৬০), চাঁন্দাশ ইউনিয়নের গুপিনাথপুর গ্রামের শংকর কুমারের ছেলে গণপতি কুমার (৭৫), এনায়েতপুর গ্রামের রিপনের স্ত্রী সুরাইয়া (৩৮), উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের শিবগঞ্জ বাজারের মৃত নবীর উদ্দিনের ছেলে হালিম (৩৮), চেরাগপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের রসিক চন্দ্র মন্ডলের ছেলে নিবারন চন্দ্র মন্ডল (১৮), খাজুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রারেম আশরাফ আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৭), খাজুর রাজবংশীপাড়ার শিপিও চন্দ্রের ছেলে সনজিৎ (২২) ও ভীমপুর ইউনিয়নের সরস্বতিপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ধলু জানান, তাঁর বাড়ির কাজের বুয়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিজের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে। তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরদিন চেয়ারম্যানের ছেলে সাদের জ্বর আসলে চেয়ারম্যান নিজে, তার স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ্যান্টিজেন টেস্ট করান। পরে তার ছেলের পজিটিভ ও তাদের স্বামী স্ত্রী দুজনের নিগেটিভ রেজাল্ট আসে।