1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন

অবশেষে বোয়ালমারী তিন এলাকা রেড জোন || শনিবার থেকে কার্যকর।

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০
  • ৪৯১

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে উপজেলার তিন এলাকাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদের পর থেকে এই উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ জনে। এর মধ্যে পৌরসভার মধ্যেই ৪৭ জন। পৌরসভার বাজার সদরে দোকান পাট খোলা থাকায় ঈদের পর থেকেই বেজায় ভিড়।

এ কারণে এলাকার সচেতন মহল থেকে কয়েকদিন ধরে লক ডাউনের দাবি উঠেছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে ব্যাপক স্ট্যাটাস দেয়া হচ্ছিল। অবশেষে উপজেলা প্রশাসন বোয়ালমারী পৌরসভার ৩ এলাকা বাজার সদর, ছোলনা এবং বড় কামারগ্রামকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করে। আগামী শনিবার (২০ জুন) থেকে এটা কার্যকর হবে। রেডজোন এরিয়া- বোয়ালমারী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড অর্থাৎ (থানা থেকে শুরু করে পুরাতন জামে মসজিদ, ছাগল হাটা থেকে শুরু করে অডিটোরিয়াম হয়ে ওয়াবদা মোড় হয়ে মাঝকান্দী ভাটিয়াপাড়া সড়কের বাম পাশ হয়ে ঠাকুরপুর ব্রিজ পর্যন্ত।

অপর দিকে উমরনগর ব্রিজ থেকে আজিজুল কাউন্সিলর এর বাড়ী হয়ে মাংস বাজার, চাটাইপট্টি। এবং সমগ্র ছোলনা গ্রাম সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করার প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে ।রেডজোন এলাকায় সরকার গৃহীত বিধিমালা।এসব এলাকায় কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প বা কৃষিকাজ সহায়ক কর্মাদি উন্মুক্ত থাকবে। এই জোনের আওতায় কর্মজীবীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন, বাইরে যেতে পারবেন না। কোনো ধরনের জনসমাগমও করা যাবে না। কেবল প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিসেবার কাজেই বাইরে চলাচল করা যাবে।

রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত শহর এলাকায় বাজার বন্ধ থাকবে। গ্রাম এলাকায় মুদির দোকান ও ফার্মেসি কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। স্থানীয় প্রশাসন চাইলে সব কিছু বন্ধ রাখতে পারে এ ক্ষেত্রে শহর এলাকায় নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ফার্মাসি গুলো স্বাস্থ্য বিধি মেনে হোম ডেলিভারি দিতে পারবে সে ক্ষেত্রে পূর্বেই অনুমতি নিতে হবে।কোনো ধরনের রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান ও টং দোকান খোলা রাখা যাবে না। রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় মসজিদ ও ধর্মীয় স্থানে কেবল খাদেম বা কর্মচারীরাই থাকতে পারবেন।

ওয়াক্তেও নামাজে সর্বোচ্চ ৫ জন জুম্মায় ১২ জন মুসল্লি অংশ গ্রহণ করতে পারবে। রেড জোন এলাকায় টপআপ ও এমএফএস সেবা খোলা রাখা গেলেও ব্যাংকিং খাতে কেবল এটিএম বুথ খোলা রাখা যাবে। রেড জোন ঘোষণা এলাকা সম্পূর্ণ ব্লক থাকবে। সেই এলাকায় কেউ ঢুকবেও না, কেউ বেরও হবে না। তবে, এ সব এলাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব জিনিসের দরকার হবে তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবে স্থানীয় প্রশাসন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪