1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে- আইজিপি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো বাপাকা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম- আইজিপি শারক্বীয়ার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার পূর্ব শত্রুতার জেরে সাবেক চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা! ক্রেতা সেজে বসুন্ধরা শপিং মল থেকে আইফোন চুরি করতে গিয়ে আটক ১ কাল থেকে বৃষ্টি হতে পারে ডিমের হাফ সেঞ্চুরি, সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া ছিনতাই হওয়া স্বদেশ আবার ফিরিয়ে আনেন শেখ হাসিনা- ড.সৈয়দ আনোয়ার হোসেন

কর্মহীনতায় অজানার পথেঃ বাড়ি ফেরা “কর্মহীন জীবন হতাশার কাফনে জড়ানো একটি জীবন্ত লাশ।”

  • সময় : বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০
  • ৬৩৮

সমসাময়িক সময়ে ডেল কার্নেগির এ ই উক্তিটি যেন অমোঘ সত্য হয়ে নাড়া দিচ্ছে সমাজ সংসারে । সারা পৃথিবী করোনা ভাইরাসের কারণে আজ বিপর্যয়ের মুখে। বাংলাদেশেও পড়েছে এর ব্যাপক প্রভাব। করোনার কারণে কর্মক্ষম অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো আজ কর্মহীন হয়ে ঘরে বন্দী। ফলে নেই কোন আয়ের উৎস। জীবন যেন আজ জেলখানায় তালাবন্ধ। আমিত্ব ত্যাগ করি, মানব সেবায় জীবন গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে বুকে ধারণ করে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন ও কিছু কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।কিন্তু প্রতিটি মুহূর্ত যেন করোনার আতঙ্ক তাড়া করছে।

একেকটি দিন পার করার মানে হচ্ছে করোনামুক্ত চ্যালেঞ্জ। গোটা বিশ্বে শুধু আক্রান্ত আর মৃত্যুর হারই বাড়ছে না, মানুষের স্বাভাবিক জীবন-জীবিকায় অনেক বড় হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববাজার। বাড়ছে অর্থসংকট। ইতিমধ্যেই ভাটা পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। তবে এই মন্দা স্বাভাবিক হতে কত দিন লাগবে, তা-ও বলতে পারছেন না অর্থনীতিবিদেরা। দিন দিন দেশজুড়ে ক্ষুধার্ত ও কর্মহীন মানুষের সংখ্যাই শুধু বাড়ছে।বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

চাকরি হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, করোনার প্রভাবে পৃথিবীতে কয়েক কোটি মানুষ চাকরি হারাবে।২০০৮ সাল পরবর্তী পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক মন্দা সমগ্র বিশ্বের মতো প্রভাব ফেলেছিল গ্রীসেও। প্রবল মূল্যবৃদ্ধি, দেশীয় মুদ্রার মূল্য হ্রাস, কর্মহীনতা, সরকারী ঋণ গ্রীসের অর্থনীতিকে প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছিল। ২০০৯ সাল নাগাদ গ্রীস এই অর্থনৈতিক মন্দার মোকাবিলা করার জন্য ব্যয়সঙ্কোচের নীতি বা ‘অস্টারিটি মেজারস’ চালু করে।

একসময়ের গ্রীসের মতই পুরো পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বেকারত্বের হার। পৃথিবীতে সব দেশে একযোগে চলছে ছাঁটাই, বরখাস্ত, চাকরিচ্যুতি। করোনাভাইরাস শুধু জীবন ও স্বাস্থ্যেই প্রভাব ফেলছে না, এই ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে সব ধরনের অর্থনীতিতেও। যার ফলে ব্যবসা–বাণিজ্য নিম্নমুখী হওয়াতে কর্মীরা চাকরি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে পাইলট থেকে শুরু করে নিম্নশ্রেণির পেশাজীবী মানুষকে।

মাত্র একজনের চাকরির অর্থ উপার্জন দিয়ে গোটা পরিবার চলে—এমন পরিবারের সংখ্যা আমাদের সমাজে সবচেয়ে বেশি। সেই চাকরির কিছু হলে যে অন্য কিছুর হাল ধরবে, তারও কোনো পরিস্থিতি বর্তমানে নেই। করোনা সংকটের কারণে করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে সবাই। পরিবার চালাতে বিপাকে পড়ছেন মধ্যবিত্তরা।বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বড় আঘাত আসা শুরু হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানিমুখী—এই দুই ধরনের অর্থনীতিতেই স্থবিরতা দেখা যাচ্ছে। এই স্থবিরতার প্রভাব অচিরেই গিয়ে পড়বে চাকরির বাজারে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস কারণে আগামী তিন মাসের মধ্যে বিশ্বে সাড়ে ১৯ কোটি মানুষ তাঁদের পূর্ণকালীন চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। তবে সাধুবাদ জানাতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, পরিস্থিতির আলোকে দিনমজুর, রিকশা বা ভ্যানচালক, মোটরশ্রমিক ও নির্মাণশ্রমিক, পত্রিকার হকার, হোটেলশ্রমিকসহ অন্যান্য পেশার মানুষ যাঁরা দীর্ঘ ছুটি বা আংশিক লকডাউনের কারণে কাজ হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য কিছু সহায়তা বরাদ্দ করেছেন।করোনাভাইরাসের মোকাবিলা, নাকি অর্থনীতির চাকা সচল করা? করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলে লকডাউন চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু অর্থনীতিতে গতি আনতে গেলে লকডাউন তুলে নেওয়া উচিত।

এই সংঘাতে কোন পথে যাওয়া উচিত তা নিয়ে দ্বিধা আছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে চাপ পড়বে অর্থনীতিতে। ফলে লকডাউন তুলে না নিলে ‘করোনায় যত মানুষের মৃত্যু হবে, অনাহারে মারা যাবেন তার চেয়ে বেশি মানুষ’। এ অবস্থায় সরকারের নেয়া উদ্যোগে সুশাসন নিশ্চিত না হলে ঝুঁকিতে পড়বে করোনা পরবর্তী অর্থনীতি।রাজধানীতে প্রায় 15 বছর ধরে দিন এনে দিন খাওয়া এক রিকশাচালক বলেন, 15 বছর আগে এক পা হারিয়েছি, আরেক পায়ের উপর ভর দিয়েই 5 সদস্যের সংসার চালাতাম। করোনায় কাজ না থাকায় জীবন চালানো কষ্ট হয়ে গেছে।দেশে তার মতো দরিদ্র মানুষের সংখ্যা এখন প্রায় ৪ কোটি।

সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে পিপিআরসি ও বিআইজিডি জানায়, করোনা মহামারীতে দিন আনে দিন খায় এমন প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের আয় বন্ধ হয়েছে। পরিবারের ব্যয়ভার বহনে হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকেও।রাজধানী ঢাকা ছেড়ে অনেকেই চলে যাচ্ছেন গ্রামে। কিন্তু গ্রামে চলে যাওয়াই কি সমাধান?এ বিষয়ে বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেহতাব খানম বলেছেন, কভিড-১৯ এর প্রভাবে বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সারি লম্বাই হবে, যা সমাজে মারাত্মক অস্থিরতা তৈরি করবে। ক্ষুধার কারণে মনুষ্যত্ব লোপ পাবে। ফলে অপরাধ প্রবণতা বাড়বে। মানুষে মানুষে হানাহানি বাড়বে।বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, ক্ষুধার্ত মানুষ অপরাধে জড়াবে।

এ জন্যই সবার আগে মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। তার আগে মানুষকে কাজ দিতে হবে। তবে এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে সবার আগে মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে। জীবনই যদি না বাঁচে তাহলে খাবার দিয়ে কী হবে। আবার বাঁচার জন্য খাবারের প্রয়োজন হবে। ফলে দুটোকেই গুরুত্ব দিতে হবে।তাই আশা করছি খুব দ্রুতই–“আমরা ফিরে যাবো আমাদের বিশ্বাসের পৃথিবীতেআমাদের শ্রম, উৎসব, আনন্দ আর প্রশান্তির পৃথিবীতে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪