যশোরে ১ জন কারারক্ষীসহআরও ২৫ জনের কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩ বছরের ১ জন শিশু, ৫ জন নারী ও ১৯ জন পুরুষ। আক্রান্তদের ১ জন কারারক্ষী ও ১ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। এছাড়া পুরাতন ২ রোগীর ফলোআপ পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। বুধবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার থেকে পাঠানো ১৪২ নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ২৭ জনের করোনা শনাক্তের এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যশোর সিভিল সার্জন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ জানিয়েছেন, নতুন করে আক্রান্ত ২৫ জনের মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ৬ জন, শার্শা উপজেলায় ১ জন, চৌগাছা উপজেলায় ১ জন, অভয়নগর উপজেলায় ১৫ জন, মণিরামপুর উপজেলায় ১ জন ও কেশবপুর উপজেলায় ১ জন।
এছাড়া ফলোআপ পজেটিভ শনাক্ত হওয়া ২ পুরাতন রোগীর বাড়ি অভয়নগর উপজেলায়। ডা.রেহেনেওয়াজ আরও জানান, যশোর সদর উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে যশোর রেলস্টেশন রোড এলাকার শিশুসহ একই পরিবারের ৩ জন, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাসকারী ১ জন কারারক্ষী ও সদর উপজেলার বিরামপুরে ১ জন রয়েছেন। তিনি জানান, কেশবপুর উপজেলায় আক্রান্ত ২ জনের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্বরত ১জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. তানভীর ইসলাম জানিয়েছেন, জিনোম সেন্টারে যশোরের ১৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৭ জন,
নড়াইলের ১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জন, ঝিনাইদহের ৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জন ও সাতক্ষীরা জেলার ৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে।
এছাড়া মাগুরার ১৬ জন ও বাগেরহাট জেলার ৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ হয়েছে। অর্থাৎ যবিপ্রবির ল্যাবে ৬ জেলার মোট ২১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০ জনের করোনা পজিটিভ ও ১৮৯ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, নতুন করে আক্রান্ত ২৫ জনের ফলাফল পেয়েছি। ফলাফলের কপি সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে মেইলে পাঠানো হয়েছে। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করাসহ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। সিভিল সার্জন আরো জানান, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত যশোর জেলায় ২৬৮ জন করোনারোগী শনাক্ত হলো। সুস্থ হয়েছেন ১০৪ জন। এছাড়া ১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।