যশোরে দুই চিকিৎসক একজন ইসিজি টেকনিশিয়ান ও যবদলের নেতাসহ নতুন করে ১৩ জন কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে রোববার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) ল্যাবে ২০ নমুনা পরীক্ষায় ৩ জন ও সোমবার সকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার থেকে পাঠানো ১৩১ নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ১০ জন শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে যশোর সদর উপজেলার ৬ জন, শার্শা উপজেলায় ২ জন, ঝিকরগাছা উপজেলায় ২ জন,চৌগাছা উপজেলায় ১ জন অভয়নগর উপজেলার ১ জন ও কেশবপুর উপজেলার ১ জন রয়েছেন। তাদের বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।
যশোর সিভিল সার্জন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, সোমবার করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে যশোর জেলার আরও ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. শিরিন নিগার জানান, জিনোম সেন্টারে যশোর জেলার ১৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জন ছাড়াও মাগুরা জেলার ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। অর্থাৎ ২ জেলার ১৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জন পজেটিভ ও ১৩৯ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।
যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আদনান ইমতিয়াজ জানান, যশোর সদর উডজেলায় আক্রান্ত ৬ জনের বসবাস শহরে। আক্রান্তদের মধ্যে ১ জন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের জেষ্ট চিকিৎসক, একই হাসপাতালের ১ জন ইসিজি টেকনিশিয়ান ও যশোর জেলা যুবদলের ১ জন নেতাও রয়েছেন। আক্রান্ত চিকিৎসক যশোর স্টেডিয়ামপাড়ায়, ইসিজি টেকনিশিয়ান সিটি কলেজ পাড়া,যুবদলের নেতা তেতুলতলা চোরমারা দিঘীর দক্ষিণপাড়ে বসবাস করেন। বাকি ৩ জনের মধ্যে ২ জন বসবাস করেন উপশহর এলাকায় ও ১ জন বেজপাড়া এলাকায়। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, নতুন করে আক্রান্ত ২ জনের মধ্যে ১ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নারী চিকিৎসক ও আরেকজন বয়স্ক নারী।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, নতুন করে আক্রান্ত ১৩ জনের সবাই হোমআইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অবস্থা বুঝে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। সিভিল সার্জন আরো জানান, সোমবার (১৫ জুন) পর্যন্ত যশোর জেলায় ২২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১০১ জন। এছাড়া ১ জন মারা গেছেন।