কমলকুমার ঘোষ ৷ কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতে করোনার টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউটে লেগেছে এক বিধ্বংসী আগুন৷ মহারাষট্রের পুণেতে এই সংস্থাতেই তৈরি হচ্ছে করোনার টিকা কোভিশিল্ড৷
আজ বৃহষ্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ এই ইন্সটিটিউটের “মঞ্জরী” প্ল্যান্টে আগুন লাগে৷ দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাড়িটির চতুর্থ ও পঞ্চম তলে৷ কালো ধোঁওয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা৷ সেরাম ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ এবং কর্মচারীরা এই আকষ্মিক ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েন৷ সবাই বাড়িটি বাঁচানোর জন্য নানাভাবে চেষ্টা করতে থাকেন৷ ইতিমধ্যে খবর পেয়ে দ্রুত এসে পড়ে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন৷ পরে আসে আরও কয়েকটি৷ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ শুরু করে দেন দমকলকর্মীরা৷ এখনও তাঁরা আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ তবে, সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, করোনার টিকা যেখানে তৈরি হয়, সেই জায়গাটি অক্ষত আছে৷
এই ঘটনার পরে, স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান৷ মহারাষট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে কথা বলেন পুণের পুরপ্রধানের সঙ্গে৷
সেরাম ইন্সটিটিউটে প্রচুর পরিমাণে করোনার টিকা কোভিশিল্ড মজুদ আছে৷ তাই, এই ঘটনায় গোটা ভারতে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে৷
প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা এজেনেকা-র তত্বাবধানে করোনার টিকা কোভিশিল্ড তৈরি করছে সেরাম ইন্সটিটিউট৷ এই মুহূর্তে যেহেতু গোটা ভারতে বিপুল পরিমাণে কোভিশিল্ড টিকা সরবরাহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশেও তা রপ্তানির প্রস্তুতি চলছে, তাই এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন৷ সেরাম ইন্সটিটিউটে হঠাৎ কীভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ এটি নিছক দুর্ঘটনা না অর্ন্তঘাত, তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ এর মধ্যে কোনও বিদেশি রাষট্রের চক্রান্ত আছে কি না, সেই সন্দেহও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না৷পুণের মেয়র জানালেন, সেরাম ইন্সটিটিউটের অগ্নিকান্ডে এখনও পর্যন্ত ৫জনের মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে৷