আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীরঃময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের সন্তান জাইন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনের প্রশাসনে ডেপুটি চিফ-অফ-স্টাফ এর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পেয়েছেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাইন সিদ্দিকী যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনে ডেপুটি চিফ অব স্টাফের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পাওয়ায় আনন্দিত নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের মাদারিনগর গ্রামের গ্রামের মানুষ ও জাইনের স্বজনরা।
গত বুধবার এই পদে জাইন সিদ্দিকীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
৩০ বছর বয়সী জাইন ময়মনসিংহের নান্দাইলের শেরপুর ইউনিয়নের মাদারীনগর গ্রামের মোস্তাক আহম্মেদ সিদ্দিকী ওরফে মামুন ও কামরুন আবেদীন হেলেনা সিদ্দিকী দম্পতির একমাত্র ছেলে। এই চিকিৎসক দম্পতিও যুক্তরাষ্টের বাসিন্দা।
ময়মনসিংহের নান্দাইলের শেরপুর ইউনিয়নের মাদারীনগর গ্রামে জাইন সিদ্দিকীর বাড়ি
ময়মনসিংহের নান্দাইলের শেরপুর ইউনিয়নের মাদারীনগর গ্রামে জাইন সিদ্দিকীর বাড়ি
জাইনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,আনুমানিক ৩৩ বছর আগে জাইনের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং সেখানে নাগরিকত্ব পান। জাইনের জন্মও সেখানেই। সেখানেই তার লেখাপড়া ও বেড়ে ওঠা। জাইনের দাদি মাজেদা আক্তারও তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন।
মাদারীনগর গ্রামে গিয়ে জাইনের স্বজন ও গ্রামবাসী জানান, বাংলাদেশি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হোয়াইট হাউস প্রশাসনে এত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পাওয়ার খবরে গ্রামের মানুষ ভীষণ খুশি।২০১৬ সালের এপ্রিলে বাবার সঙ্গে গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন তিনি।
জাইন সিদ্দিকীর বাবা মোস্তাক আহম্মেদ সিদ্দিকী বাড়িতে তার চাচাত ভাইদের এই খবর ফোন করে জানালে দূর-দূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজন ছুটে আসছেন তাদের বাড়িতে। মিষ্টি বিতরণ করা হয় গ্রামে। এছাড়া মসজিদে মসজিদে দোয়া-মিলাদও করা হয়।জাইনের বাবার চাচাত ভাই রতন সিদ্দিকী বলেন, পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে জাইনের বাবা সবার বড়। তাদের জমি-সম্পত্তি আমিই দেখাশোনা করি। তাদের আরেক বোন নাহিদ পারভিন মনির বিয়ে হয় প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের ছোট ভাই আবদুল হাইয়ের সঙ্গে। স্বামীর মৃত্যুর পর নাহিদ পারভিন মনি প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ঢাকায় বসবাস করেন।”
তিনি আরও জানান, জাইনের বাবা মোবাইলে ভাতিজা জাইন সিদ্দিকীর এই আনন্দের খবর জানিয়েছেন। এরপর গ্রামে আনন্দের বন্যা বইছে।
জাইনের চাচি লুৎফুন্নাহার বেগম বলেন, “২০১৬ সালে তারা সবাই বাড়ি এসেছিলেন। আধাপাকা টিনশেড ঘরে রাতযাপন করেছেন আমাদের সাথে। বাড়ির পাশে নরসুন্দা নদীতে নৌকায় ঘুরেছেন জাইন। যুক্তরাষ্ট্রের এত বড় পদে স্থান পাওয়ায় আমিও আনন্দিত।”
ওই গ্রামের বরিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শাহিন কবির বলেন, জাইন শুধু আমাদের গ্রামের গর্ব বা জেলার গর্ব নয়, সারা বাংলাদেশের গর্ব। সে যেন যুক্তরাষ্ট্রের আরও বড় পদে জায়গা পান এই প্রত্যাশা করছি।