জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত হচ্ছে বায়োপিক ‘বঙ্গবন্ধু’। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় এটি পরিচালনা করবেন শ্যাম বেনেগাল। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে বিভিন্ন চরিত্রের অভিনয়শিল্পী। তাদের নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশ হয়েছিল। বায়োপিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় বয়সের চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল জান্নাতুল সুমাইয়া হিমির। কিন্তু ১৬ জানুয়ারি সিনেমাটির লাইন প্রডিউসার মোহাম্মদ হোসেন জেমি জানান, এই নামের কোনো অভিনেত্রীর সঙ্গে চুক্তি হয়নি।
পরে বিষয়টি নিয়ে ১৭ জানুয়ারি (রোববার) রাতে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন হিমি। লিখেছেন, ‘খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমি আর বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক প্রজেক্টের সঙ্গে সংযুক্ত নেই। অডিশন দেওয়ার পরে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় বেলার চরিত্রে অভিনয় করার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। এত বড় একটি চরিত্রে অভিনয় করা সকল অভিনেত্রীরই স্বপ্ন। স্বপ্ন যে এক মুহূর্তের মধ্যে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে সেটা অকল্পনীয় ছিল।’
তিনি আরও লিখেন, চরিত্র থেকে বাদ পড়ার কারণ, এমনকি চরিত্র থেকে যে বাদ পড়েছি কোনোকিছুই কর্তৃপক্ষ জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি। কর্তৃপক্ষ সরাসরি যোগাযোগ করে একজন অভিনেত্রী হিসেবে সামান্যতর সম্মান প্রদর্শন করবেন এতটুকু আশা ছিল।
জানতে চাইলে সময় নিউজকে হিমি বলেন, আমি শকড। কেন এমন হলো আমি জানি না। গত বছর জানুয়ারিতে অডিশন দেওয়ার পর ৫০ জনের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছিল তাতে আমার নাম ছিল। আমি প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম সে রকমভাবে। কিন্তু হঠাৎ করেই জানলাম আমি প্রধানমন্ত্রীর চরিত্রটি করছি না। এটা কেন হলো আমি জানি না।
শেখ হাসিনার চরিত্রে কে অভিনয় করছেন? উত্তরে বাংলাদেশ অংশের লাইন প্রডিউসার মোহাম্মদ হোসেন জেমি সময় নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে তিনজন অভিনয় করছেন। উনার শিশু এবং মধ্য বয়সের চরিত্র দুটি করবেন ভারতের দুই শিশু শিল্পী। আর বড়বেলার চরিত্রটি করবেন নুসরাত ফারিয়া। লাইন প্রডিউসার হিসেবে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কোথাও হিমির নামটি আমি পাইনি। ডিরেক্টর, কাস্টিং ডিরেক্টরের মনে হয়েছে পরিবর্তন দরকার তাই হয়ত উনারা পরিবর্তন করেছেন। আর পরিবর্তন হতেই পারে।
শুটিং প্ল্যান সর্ম্পকে জেমি জানান, ২১ জানুয়ারি থেকে মুম্বাইয়ে চিত্রায়ণ শুরু হবে। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে অভিনয় শিল্পীদের একটি দল মুম্বাই গিয়ে পৌঁছেছে। এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে চিত্রায়ণ হবে। তারপর সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর বাংলাদেশে চিত্রায়ণের পরিকল্পনা রয়েছে।