তাঁরা বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা। দু’জনেরই অভিষেক দুই হেভিওয়েট পরিচালকের হাত ধরে। রণবীর কপূর এবং আলিয়া ভট্ট। তবুও নিজেকে প্রেমিকার চেয়ে কম মনে করেন রণবীর। হিসাব করলে দেখা যায়, বলিউডে আলিয়ার থেকে প্রায় ৫ বছরের সিনিয়র রণবীর। কিন্তু নিজেকে কেন পিছিয়ে রাখছেন অভিনেতা?
উত্তর দিলেন খোদ রণবীরই। নিজেকে কার্যত ‘কুঁড়ে’ বলতেও দ্বিধা করলেন না তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণবীর বলেছেন, “পুরো লকডাউন জুড়ে আমি যখন শুধু টিভি দেখে কাটিয়েছি, আলিয়া তখন বিভিন্ন ধরনের ক্লাস করে নতুন নতুন জিনিস শিখেছে।”
রণবীর জানিয়েছেন, লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে আলিয়া গিটার থেকে চিত্রনাট্য লেখা, প্রায় সব কিছুই শিখে ফেলেছেন। অন্য দিকে তিনি সময় কাটিয়েছেন বই পড়ে। নতুন কিছু শেখা দূরে থাক, এক একদিনে ২-৩টি করে ছবি দেখে ফেলেছিলেন অভিনেতা।লকডাউনের শুরুর দিকে রণবীর হারিয়েছিলেন বাবা ঋষি কপূরকে । সেই সময় তাঁর পাশে ছিলেন আলিয়া। সমগ্র কপূর পরিবারকেই দুঃসময়ে আগলে ছিলেন অভিনেত্রী। তার মাস খানেক পেরোতেই সুশান্তের মৃত্যুতে ভট্ট পরিবারকে দোষী হিসাবে দাগিয়ে দিয়ে তুলে দেওয়া হয় কাঠগড়ায়। অর্থাৎ, লকডাউনের একটা বড় অংশ তাঁরা কাটিয়ে দিয়েছেন ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক টানাপড়েন সামলাতে। এর পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে নিজের মতো করে নিজেদের গুছিয়েছেন তাঁরা।এই বছরেই বিয়ে সেরে ফেলার কথা ভেবেছিল বলিউডের এই হেভিওয়েট জুটি। করোনাভাইরাস জল ঢেলেছে সেই পরিকল্পনায়। বিয়ের দিন নিয়ে মুখ না খুললেও রণবীর জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই ভালবাসার মানুষের সঙ্গে সাত পাক ঘুরে তাঁকে পাকাপাকি ভাবে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চান অভিনেতা।