যশোরে আরও ১৪ জন কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে শনিবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) ল্যাবে ১৩ জন ও রোববার সকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার থেকে পাঠানো নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ১ জন শনাক্ত হয়।
আক্রান্তদের মধ্যে অভয়নগর উপজেলার ১৩ জন ও কেশবপুর উপজেলার ১ জন রয়েছেন।
যশোর সিভিল সার্জন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, রোববার করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে যশোর জেলার আরও ১৮৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. শিরিন নিগার জানান, জিনোম সেন্টারে যশোর জেলার ২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জন ছাড়াও নড়াইল জেলার ৩৪ নমুনা পরীক্ষা করে ২ জন, মাগুরা জেলার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জন ও সাতক্ষীরা জেলার ৩৭ নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জন ও বাগেরহাট জেলার ২৩ জনের নমুনা করে ৩ জনের পজেটিভ পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৫ জেলার ১২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জন পজেটিভ ও ১১৪ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন জানান, নতুন করে আক্রান্ত যুবক (২৯) কুষ্টিয়ায় আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জ্বর ও কাশি নিয়ে তিনি সম্প্রতি নিজ বাড়ি ফেরেন। গত শুক্রবার তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছিলো। ফলাফল করোনা পজেটিভ হওয়ার পর
তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তিনি হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রহমান রিজভী জানিয়েছেন, নতুন করে আক্রান্ত ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে গত ১ জুন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়েছিলো। ১২ দিন পর তাদের ফলাফল এসেছে। আক্রান্তরা সবাই হোমআইসোলেশনে রয়েছেন। তাদের বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, সিভিল সার্জন আরো জানান, ল্যাব থেকে ফলাফলের কপি হাতে পাওয়ার পরই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়। সিভিল সার্জন জানান, বুধবার
(১৪ জুন) পর্যন্ত যশোর জেলায় ২১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১০১ জন। এছাড়া ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।