বিশ্বজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে নতুন রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে উল্লেখযোগ্যহোরে। পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর পরিমাণ। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে দেশে আরোপ করা হচ্ছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ রোধে ক্রিসমাস ও নববর্ষের আসন্ন ছুটিতে নতুন করে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে ইতালি। শুক্রবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে লকডাউনের ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর, ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি এবং ৫, ৬ জানুয়ারি অপ্রয়োজনীয় দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ সময় কর্মক্ষেত্র, হাসপাতাল ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হতে পারবে না। বন্ধ থাকবে সব ধরনের পানশালা, রেস্তোরাঁ।তবে ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত লকডাউন একটু শিথিল করে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার ও রেস্টুরেন্ট খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে ৩১ তারিখ থেকে পরবর্তী বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আবারো সম্পূর্ণ লকডাউনের আওতায় থাকবে ইতালি।ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনার দ্বিতীয় প্রকোপ ঠেকাতে ইতালি সরকার তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আসন্ন ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও নতুন বছর বরণের আয়োজনে যেন নতুন করে করোনা সংক্রমণ না হয় সেজন্য আমরা আবারো সম্পূর্ণ ইতালিকে লালজোনের আওতাভুক্ত করে পুরো ইতালিকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।তিনি জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা ভুলে যাবেন না এটা আমাদের ত্যাগের সময়।
আমরা এখন ত্যাগ করবো যাতে পরবর্তী সময়ে আমরা সবাই সুস্থ থেকে আমাদের পরিবারের সাথে মিলিত হতে পারি।ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০হাজার ৮৭২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মারা গেছেন ৪১৫ জন। এদিকে আসন্ন ক্রিসমাসের উৎসবে করোনা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় ক্রিসমাস পালনে সর্বোচ্চ সতকর্তা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।