গত বছরের শেষ দিকে কলকাতার পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করেন বাংলাদেশি মডেল ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এরই মধ্যে বিয়ের এক বছর পূর্ণ হয়েছে এই দম্পতির। বিবাহিত জীবনে বেশ সুখেই আছেন তারা।
২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়েছিল ঢাকার মিথিলা আর কলকাতার সৃজিত মুখার্জির। বিয়ে সেরেই পরদিন সকালে নবদম্পতি গেলেন সুইজারল্যান্ডে। এরপর গেলেন গ্রিসে।
তারপর যে যাঁর দেশে ফিরেছেন। এরপর ২০২০–এর ফেব্রুয়ারিতে হয়েছে রিসেপশন। মার্চে শুরু হয়েছে করোনাকালের লকডাউন। তারপর ১৫ আগস্ট লকডাউনেই পায়ে হেঁটে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গেছেন। এরপর সেখানেই রয়েছেন মিথিলা। এভাবেই ফুরিয়ে গেল বিবাহিত জীবনের এক বছর।
বিবাহবার্ষির্কী উপলক্ষে কে কাকে কী উপহার দিলেন? উত্তরে মিথিলা জানিয়েছেন, তিনি ‘ম্যাটেরিয়ালিস্টিক গিফট’–এ বিশ্বাসই করেন না। বললেন, ‘ওসব তো বছরের যেকোনো সময়ই দেওয়া যায়। বিবাহবার্ষিকীতে আমরা সুন্দরবন বেড়াতে গেছি। চমৎকার সময় কেটেছে। একজন আরেকজনকে সময় দিয়েছি, মনে রাখার মতো স্মৃতি তৈরি হয়েছে, এটাই বড়।’
মিথিলা আরও বলেন, বাংলাদেশে সুন্দরবনের বেশির ভাগ অংশ হলেও আগে কখনো যাওয়া হয়নি। এখান থেকে খুবই কাছে। আমরাই একটা বোট ভাড়া করে খুব ভোরে বেরিয়েছিলাম। বাজার করে নিয়ে উঠেছিলাম। ওয়াটার মনিটর, বিশাল সাইজের গুইসাপ, হরিণ, বানর—এগুলো দেখেছি।
তবে বাঘের দেখা পাইনি। সারা রাত নৌকায় কাটিয়েছি, গান শুনিয়েছি। দেশের ব্যান্ডের গান, ওর ছবির গান, ভোরের দিকে গেয়েছি রবীন্দ্রসংগীত।
তবে হ্যাঁ, সৃজিতকে পারফিউম দিয়েছেন মিথিলা। আরেকটা ব্লুটুথ স্পিকারও কিনে দেবেন বলে জানিয়েছেন। লাল শাড়ি পরে একসঙ্গে বিবাহবার্ষিকীর রাতে বাইরে খাওয়াদাওয়াও করেছেন মিথিলা। বললেন, ‘দোয়া করবেন, যেন এভাবেই কাটিয়ে দিতে পারি বাকি জীবন।’
পরিচালক আর অভিনেত্রী এক ছাদের নিচে সংসার করছেন। সৃজিতের ছবিতে মিথিলাকে দেখা যাবে কি না?
মিথিলা জানালেন, শুধু সৃজিত কেন, বাংলাদেশ বা ভারতের যেকোনো ভালো পরিচালকের ছবিতেই দেখা যেতে পারে তাঁকে। তবে মিথিলা সৃজিতের লেখা চিত্রনাট্য পড়েন। নিজের মতামত জানান। কাস্টিং নিয়েও আলাপ করেন।
এ কথা শুনেই জানতে চাইলাম, নিজের জন্য পরিচালকের সঙ্গে লবিং করেন?
বললেন, লবিং আমি কোনোকালেই করতে পারি না। সৃজিতের ছবিতে কাজ করতেই হবে, এমন নয়। কখনো ব্যাটে–বলে মিললে করব।