মিশরের কথা ভাবলেই চোখে ভেসে ওঠে পিরামিডের ছবি। আর সেই সাথে ভেসে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারী ক্লিওপেট্রার কল্পিত মুখ। দেশটির ইতিহাসের সাথে পিরামিড আর ক্লিওপেট্রা যেন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আর এবার পিরামিডের সামনে ক্লিওপেট্রার সাজে ছবি তোলায় খ্যাতনামা মডেল সালমা আল-শিমিকে গ্রেপ্তার করেছে মিশরীয় পুলিশ। সেই সাথে তার ফটোগ্রাফারকেও গ্রেপ্তার করা হয়। অবশ্য পরে তারা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পান।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দক্ষিণ কায়রোর সাক্কারার নেক্রোপলিসে অবস্থিত পৌনে ৫ হাজার বছরের পুরনো পিরামিডের সামনে বেশ কিছু আকর্ষণীয় ছবি তোলেন সালমা আল-শিমি। তার ফটোশুটটি করেন ফটোগ্রাফার হুসসাম মোহাম্মদ। পরবর্তীতেই সেইসব ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে পোস্ট করেন শিমি। এতে তাকে প্রাচীন রাণী ক্লিওপেট্রার মতো সাজতে দেখা যায়।
তার ছবিগুলো ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজেনদের একাংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালায়। পরে মডেল শিমি ও তার ফটোগ্রাফার হুসসামকে গ্রেপ্তার করে মিশরের ট্যুরিজম পুলিশ। পরবর্তীতে ৫০০ মুদ্রা জরিমানা দিয়ে তারা মুক্তি পান
সালমা আল-শিমির বিরুদ্ধে ফারাও যুগের ফ্যাশন অনুকরণে ‘অশ্লীল’ পোশাক পরার অভিযোগ তোলা হয়। তাকে এমন পোশাকে দেখা যায়, যাতে তার হাঁটু দেখা যাচ্ছিল।
সেইসঙ্গে আঁটসাঁট পোশাকে তার দেহসৌষ্ঠব ফুটে উঠেছিল। এ পোশাকে যৌনাবেদন ফুটে উঠেছে। এর মাধ্যমে শিমি মিশরীয় ঐতিহ্যকে অসম্মান করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নেক্রোপলিসে পিরামিডের সামনে ফটোশুট করার জন্য তারা কীভাবে অনুমতি পেল তা খতিয়ে দেখা হবে। সংশ্লিষ্ট ছয় কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয় প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার ইতিহাস সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন দেশটির এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘প্রাচীন পিরামিডগুলোতে অশ্লীল এবং অসম্মানজনকভাবে ছবি তোলা নিষিদ্ধ।’