এক বার নয়, বহু বার নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কৈলাস খের। ভয়ঙ্কর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। কেরিয়ারের শুরুতে একের পর এক প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হতে হচ্ছিল তাঁকে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে মানসিক ভাবে ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সংবাদ সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অতীতের অন্ধকার সময়ের কথা বলেন তিনি।সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই বহু তারকার আত্মহত্যার প্রবণতা সামনে এসেছে। তাঁরা নিজেরাই মানসিক অবসাদ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন।
যদিও এ সমস্ত ঘটনার অনেক আগেই দীপিকা নিজের মানসিক অবসাদ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি পরামর্শও দিয়েছিলেন, অসুবিধা হলে চুপ করে না থেকে কথা বলা উচিত। কিন্তু সে সময়ে তাঁর পথপ্রদর্শন করেননি তেমন কেউ। তবে সব বাঁধ ভেঙে যায় সুশান্তের মৃত্যুর পর। আত্মহত্যা, আত্মহত্যায় প্ররোচনা নাকি হত্যা, সেই নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হলেও অনেকেই নিজের মানসিক সমস্যা নিয়ে কথা বলতে এগিয়ে এসেছেন। এ বারে সেই তালিকাভুক্ত হলেন গায়ক কৈলাস খেরও।সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার পাশে কেউ ছিল না। ভীষণ একা ছিলাম। তাতেই আরও বেশি করে ওই সব চিন্তা আমার মাথায় ঘুরত।
মুম্বই আসার পর কোনও কাজ পাচ্ছিলাম না। সব কিছু খুইয়ে ফেলেছিলাম। নতুন করে হারানোর জন্য কিছুই পড়ে ছিল না।’’ কৈলাসের কথায়, ‘‘আপনি কত কাজ জানেন, আপনি কী কী শিখেছেন, সেগুলোর কোনও মূল্যই ছিল না। আমি টের পাচ্ছিলাম, এই শহরে মানুষের হৃদয় বলে কিছুই নেই। তার পর নিজের সঙ্গে লড়াই করে করে আত্মহত্যার চিন্তা মাথা থেকে দূর করে দিই।
স্থির করি, এই মানুষগুলোর মতো হব না। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলে, মানুষকে সাহায্য করব। এমন এক মঞ্চ তৈরি করব, যা নতুন নতুন গায়কদের স্পটলাইটে আসার সুযোগ করে দেবে।’’