“নো মাস্ক, নো সার্ভিস” চলমান, বাস্তবায়নে হার্ড লাইনে প্রশাসন। চালিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক অভিযান ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে, কখনোবা মাইকিং করে মাস্ক পরতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু বিকার জনগণ। ব্যাপক অনীহা তাদের মাস্ক পরতে। এই পরছে তো এই খুলছে। অনেকটা প্রশাসনের সাথে এক অদৃশ্য ইদুর বিড়াল খেলা। পলে বাড়ছে সচেতন মানুষের মাঝে শংকা অসচেতন মানুষের অসচেতনতা বা দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণে। তারপরও চলছে ব্যাপক প্রশাসনিক তৎপরতা সকলকে মাস্ক পরতে নিশ্চিতকরনে।
একের পর এক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে যাচ্ছেন চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুল আলম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল আফরোজ স্বর্না। কখনোবা জনগনকে দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে মাস্ক। এতকিছুর পরও জনগন মাস্ক পরার ব্যাপারে চরম উদাসীন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ শীতে আসছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। কেননা চলমান শীতে ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে করোনার প্রকোপ।
সুতরাং এখন থেকেই সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন একান্তই আবশ্যক। আর এসবের মধ্যে সকলে মাস্ক পরা সর্বাগ্রে অপরিহার্য। কেবলমাত্র মাস্কই পারে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে ব্যাপকভাবে করোনার ছড়ানোর থেকে। সেই সাথে শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখাটা জরুরী। আর এসব নিশ্চিতকরনে জনসচেতনতাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের স্বার্থে জনগণকে সচেতন হতে হবে, প্রত্যেককে মাস্ক পরতে হবে। নিজে নিরাপদ থাকতে হবে, অপরকে নিরাপত্তা দিতে হবে।
তাহলেই কেবলমাত্র করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে যতক্ষণ না ভেকসিন আসছে- এমনটিই মনে করছে প্রশাসন। সেইসাথে চলমান থাকবে মাস্ক পরিধানে নিরবচ্ছিন্ন অভিযান, জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।