গত ২৪ ঘণ্টায় সারা পৃথিবীতে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে প্রায় সোয়া দুই লাখ মানুষ এতে সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ৪ লাখ ২৮ হাজারের বেশি ও আক্রান্ত ৭৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, আজ ১৩ জুন, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিশ্বে মোট ৭৭ লাখ ৩২ হাজার ৪৮৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ লাখ ২৮ হাজার ২৩৬ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন ও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৯ লাখ ৫৬ হাজার ২৭২ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২ লাখ ৪৭ হাজার ৯৯৭ জন, যাদের মধ্যে ৫৩ হাজার ৮৮৭ জনের অবস্থা গুরুতর।
আক্রান্তের হিসেবে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ২১ লাখ ১৬ হাজার ৯২২ জন। এর পরের হিসেবেই রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশটিতে আক্রান্ত বেড়ে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৯০২ জনে দাঁড়িয়েছে। এরপর আছে রাশিয়া। সেখানে ৫ লাখ ১১ হাজার ৪২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তালিকার পরের স্থানটিতে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারত। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯ হাজার ৬০৩ জন সেখানে আক্রান্ত হয়েছে।
এছাড়া যুক্তরাজ্যে ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৫০ জন, স্পেনে ২ লাখ ৯০ হাজার ২৮৯ জন, ইতালিতে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৫ জন, পেরুতে ২ লাখ ২০ হাজার ৭৪৭ জন, জার্মানিতে ১ লাখ ৮৭ হাজার ২৫১ জন ও ইরানে ১ লাখ ৮২ হাজার ৫২৫ জন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
১ লাখ ১৬ হাজার ৮২৫ জনের মৃত্যু নিয়ে মৃতের হিসেবেও শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্যকে সরিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। সেখানে মোট ৪১ হাজার ৯০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর যুক্তরাজ্যে মারা গেছেন ৪১ হাজার ৪৮১ জন। ইতালিতে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৩৪ হাজার ২২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ২৯ হাজার ৩৭২ জনের মৃত্যু নিয়ে এরপরের অবস্থানেই রয়েছে ফ্রান্স। এরপর যথাক্রমে রয়েছে যেসব দেশ, সেগুলো হলো স্পেন (২৭ হাজার ১৩৬ জন), মেক্সিকো (১৬ হাজার ৪৪৮ জন), বেলজিয়াম ( ৯ হাজার ৬৪৬ জন)।
এছাড়া ভারতে ৮ হাজার ৮৯০ জন, জার্মানিতে ৮ হাজার ৮৬৩ জন, ইরানে ৮ হাজার ৬৫৯ জন, কানাডায় ৮ হাজার ৪৯ জন, রাশিয়ায় ৬ হাজার ৭১৫ জন, পেরুতে ৬ হাজার ৩০৮ জন, নেদারল্যান্ডসে ৬ হাজার ৫৩ জন, সুইডেনে ৪ হাজার ৮৫৮ জন, তুরস্কে ৪ হাজার ৭৭৮ জন, চীনে ৪ হাজার ৬৩৪ জন, ইকুয়েডরে ৩ হাজার ৮২৮ জন, চিলিতে, ২ হাজার ৮৭০ জন, পাকিস্তানে ২ হাজার ৪৬৩ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২ হাজার ৪৮ জনের প্রাণ কেড়েছে কোভিড-১৯ নামের এ ভাইরাসটি।