আমেরিকায় কাজ করতে চাওয়া ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের জন্য উদ্বেগজনক খবর। এইচ-ওয়ানবি ভিসা-সহ যে বিভিন্ন ধরনের ভিসা দেওয়া হয় মার্কিন মুলুকে বিদেশি কর্মপ্রার্থীদের, এখন সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। লকডাউনের জেরে আমেরিকায় বেকারত্বের সংখ্যা বহু গুণ বেড়ে যাওয়ায়।
মার্কিন দৈনিক ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ এই খবর দিয়েছে। দৈনিকটি জানিয়েছে, আগামী অর্থবর্ষের পুরোটা সময়ের জন্যই এইচ-ওয়ানবি-সহ আমেরিকায় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের ভিসা আর না দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকায় নতুন অর্থবর্ষ শুরু হয় ১ অক্টোবর থেকে। ওই সময়েই এইচ-ওয়ানবি-সহ ওই সব ভিসা ইস্যু করতে শুরু করে মার্কিন প্রশাসন।
দৈনিকটি অবশ্য এও জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সম্ভাব্য পদক্ষেপের ফলে এই মুহূর্তে ভারতীয়-সহ যে বিদেশি নাগরিকরা এইচ-ওয়ানবি ভিসা নিয়ে আমেরিকায় কাজ করছেন, তাঁদের হয়তো কোনও বিপদে পড়তে হবে না।
তবে এইচ-ওয়ানবি ভিসা নিয়ে আমেরিকায় কর্মরত বিদেশিদের মধ্যে চিন ও ভারতের নাগরিকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। আর যে ভারতীয় নাগরিকরা এইচ-ওয়ানবি ভিসা নিয়ে মার্কিন মুলুকে কর্মরত, তাঁদের একটি বড় অংশ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী।
খবরটি তাঁদের পক্ষে বেশি উদ্বেজনক হয়ে ওঠার কারণ, করোনা সংক্রমণ ও তা ঠেকাতে লকডাউনের জেরে এইচ-ওয়ানবি ভিসা হাতে থাকা বহু ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ইতিমধ্যেই চাকরি খুইয়েছেন আমেরিকায়। তাঁদের অনেকেই হয় দেশে ফিরে এসেছেন বা আমেরিকা ছেড়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসন এ বার যে পদক্ষেপ করতে চলেছে, তার ফলে এই সব কর্মী আর আমেরিকায় কাজ পাওয়ার সুযোগ পাবেন না অদূর ভবিষ্যতে। তাঁদের ভিসার মেয়াদও বাড়বে না।
হোয়াইট হাউস অবস্য সরকারি ভাবে এমন সম্ভাব্য পদক্ষেপের কথা স্বীকার করেনি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হোগান গিডলে একটি বিবৃতিতে বলেছেন, “অনেক কিছুই ভাবা হচ্ছে। সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার সবক’টি পথই ভেবে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে মার্কিন নাগরিকদের স্বার্থরক্ষা হয়। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’’