বয়স মাত্র এক বছর সাত মাস, এখনো আধো আধো শব্দে কথা বলে কিন্তু প্রথম অভিনয়েই শুটিং ইউনিটের সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। পুরো নাম মোঃ মানজার হাসান নীর। বাবা মৃদুল হাসান হৃদয় একটি কর্পোরেট অফিসে চাকুরীর, পাশাপাশি পুরোদস্তুর মডেল অভিনেতা ও উপস্থাপক । মা গৃহিণী। বাবা হৃদয়ের সাথে কথা বলে জানা যায় আরো অনেকেই ছোট্ট নীর কে মডেলিং এ নিতে চেয়েছিলেন আগেই কিন্তু শুটিং ইউনিটে প্রচুর লাইট থাকে তাছাড়া তখন নীর আরো ছোট থাকার কারনে বাবা মা দুজনের কেউই রাজি হননি।
কিন্তু এবার কাস্টিং ডিরেক্টর জিয়াউল করিম জিয়া ভাইয়ের অফার কোন ভাবেই না করতে পারেননি বাবা মা। তাছাড়া কাজটি সামাজিক সচেতনতা মূলক। আমরা চেয়েছিলাম খুব ভালো একটি কাজ দিয়ে ওর যাত্রা শুরু হোক। তাই হয়েছে শাহ সিমেন্টের সচেতনতা মূলক ড্রামার কাজটিতে নীরের সাবলীল উপস্থিত ইউনিটের সবাইকে চমকে দিয়েছে। বাবা হৃদয় বলেন আমি ভেতরে ভেতরে কিছুটা টেনশনে ছিলাম কারণ অনেক বাচ্চারাই নিজের বাসায় বা নিজের পরিচিত মানুষদের সামনে খুব সাবলীল থাকে কিন্তু যখন এ ধরনের শুটিং এ আসে তখন অনেক অপরিচিত মুখ তথা লাইট ক্যামেরা সব কিছু দেখে ভয় পেয়ে যায়।
কিন্তু নীর খুব সহজেই সবার সঙ্গে মিশে গিয়েছিল যে কারনে শুটিং ইউনিটের তেমন কোন বেগ পেতে হয়নি। এই স্যোসাল ড্রামায় সাবেরী আলম, আজম খান, মাইমুনা ফেরদৌস মমো, মারিয়া রহমান, তাসিন আভা এবং বাবা মৃদুল হাসান হৃদয়ের সাথে মানজার হাসান কাজ করেছে বলে জানা গেছে। বাবা হৃদয় সন্তান নীরের পক্ষ থেকে সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে নীরকে আবারো অভিনয়ে দেখা যাবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি জানান, ও যদি বড় হয়ে এ সেক্টরে কাজ করতে চায় আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না। আমরা দুজনেই চাই ও খুব ভালো একজন মানবিক গুনাবলী সম্পন্ন মানুষ হোক। আর তার পাশাপাশি যদি ভালো কাজের অফার আসে নিয়মিত অভিনয় করুক।
উল্লেখ্য, প্রযোজনা সংস্থা বোল্ট স্টুডিও এর ব্যানারে এই সামাজিক সচেতনতা ড্রামা পরিচালনা করেছেন মৌসুমী আখতার। ক্যামেরায় ছিলেন আলী। প্রধান সহকারী পরিচালক ছিলেন তৌহিদ আরিফ। দীপ্ত টেলিভিশনের অফিসেই শ্যুটিং সম্পন্ন হওয়া শাহ সিমেন্টের এই সামাজিক সচেতনতা মূলক ড্রামাটা শিগগিরই রিলিজ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।