অন্যায়ভাবে শ্বেতাঙ্গ মিনিয়াপলিস পুলিশের হাতে মারা যাওয়ার দুই সপ্তাহ পরে হিউস্টনে চিরনিদ্রায় শায়িত হতে যাচ্ছে জর্জ ফ্লয়েডের মরদেহ। টেক্সাসের হিউস্টন, যেখানে ফ্লয়েড বেড়ে উঠেছেন সেখানকার ফাউন্টেন অফ প্রাইস চার্চে সোমবার কয়েক হাজার মানুষ তার মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। আমেরিকার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তার দাফন হবে।
এ সময় কিছু শোকাহত মানুষ মাথা নিচু করে, আবার কেউ কেউ ক্রুশের চিহ্ন তৈরি করে বা হাত মুঠো করে আকাশে ছুৃড়ে মারে। ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই শ্রদ্ধা নিবেদন চলতে থাকে। তবে এ সময় অনেকেই মাস্ক পরে এসেছিলেন করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার জন্য। আজ তার মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাধিস্থ করা হবে।
হিউস্টনের ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ বাসিন্দা মার্কাস উইলিয়ামস বলছিলেন, ‘আমি আনন্দিত যে সে তার প্রাপ্যটুকু পেয়েছে। আমি চাই পুলিশের এমন হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক। তারা ন্যায়বিচার অর্জনের জন্য এই প্রক্রিয়াটি সংস্কার করবে এবং হত্যা বন্ধ করবে বলে আমি মনে করি।’
জর্জ ফ্লোয়েড, একজন ৪৬ বছর বয়সী আফ্রিকান আমেরিকান, ২৫ শে মে একজন শ্বেতাঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা নয় মিনিট ধরে তার ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছিলো। আর তার পরেই ফ্লয়েড মারা যান।
তার এমন মৃত্যু বর্ণবাদ এবং কৃষ্ণাঙ্গদের উপর নিয়মিতভাবে নির্যাতন চালানোর বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরজুড়ে বিক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এ বিক্ষোভ রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাজনৈতিক সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। এই বিক্ষোভ ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনকে পুনরায় উজ্জীবিত করেছে এবং ৩ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বর্ণবাদী আচরণের বিচার ও পুলিশিক সংস্কারের দাবি উত্থাপন করেছে।
মেরিল্যান্ডের সিলভার স্প্রিংয়ের ৩৪ বছর বয়সী এরিকা করলি বলেন, ‘আমি আমাদের কৃষ্ণাঙ্গদের উপর এমন আচরণের প্রতিবাদ করতে এখানে এসেছি। আর আমরা প্রতিবাদ অব্যাহত না রাখলে এটি থামবেও না।’