ধর্ষণ ও প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার করা হল সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর বড় ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমোকে৷ তিনিও হিন্দি সিনেমার একজন অভিনেতা ৷ সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারা থানার পুলিস মিমোর ফ্ল্যাট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ৷ ৩৮ বছরের এক মহিলা মিঠুন-পুত্র মিমো এবং তাঁর মা যোগিতা বালীর বিরুদ্ধে এফ আই আর করেছিলেন ৷ তাঁর অভিযোগ, ২০১৫ সালে মিমো তাঁর ফ্ল্যাটে ঠান্ডা পানিয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে ভদ্রমহিলাকে ধর্ষণ করেন ৷
তাতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে, মিমো নানা ধরণের ওষুধ দিয়ে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন ৷ অবশ্য, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ফলে, ক্রমশ তাঁদের সম্পর্ক গভীর হয় ৷ কিন্তু, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মহাক্ষয় জানান, তাঁর পক্ষে ভদ্রমহিলাকে বিয়ে করা সম্ভব নয় ৷ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুজনের মধ্যে প্রবল বাদানুবাদ হলে, যোগিতা বালী ঐ মহিলাকে গালিগালাজ করেন এবং শাসান ৷ এরপর ভদ্রমহিলা মুম্বাইয়ের থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে, তা নিতে অস্বীকার করে ৷
তখন তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে দিল্লিতে এক পারিবারিক বন্ধুর বাড়িতে যান ৷ সেখানে বেগমপুর থানায় তিনি মহাক্ষয় ও তাঁর মা যোগিতা বালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ পুলিস ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) এবং ৩১৩ (মহিলার অনুমতি ছাড়া বলপূর্বক গর্ভপাত করানো), এই দুই ধারায় মামলা সাজায় ৷ কিন্তু পরে মহাক্ষয় ও যোগিতা বালীর আবেদনক্রমে দিল্লির এক নিম্ন আদালত তাঁদের আগাম জামিন মঞ্জুর করে ৷
এরপর ২০২০ সালের জুলাই মাসে ভদ্রমহিলা দিল্লি হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন ৷
সেখানে আদালত মামলাটি আবার খোলার অনুমতি দেয়৷ সেই সূত্র ধরে “কেস”-টি পাঠানো হয় মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারা থানায় ৷ এই অঞ্চলেই মহাক্ষয় বা মিমোর বাড়ি ৷ সেই থানার পুলিস শনিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬, ৩৭৬ (২) (এন), ৩২৮, ৪১৭, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ যার মধ্যে আছে ধর্ষণ, বারবার ধর্ষণ, বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার হুমকি, প্রতারণা, জেনেশুনে অপরাধ করা ইত্যাদি৷
এরপর পুলিস মিঠুন চক্রবর্তীর স্ত্রী যোগিতা বালীর ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ করবে, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি৷