টেলিভিশনের চেনা মুখ ‘সাথ নিভানা সাথিয়া’-তে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন পায়েল ঘোষ। বলিউড পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা অর্থাৎ মিটুর অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করেছেন অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের ভারসোভা থানায় অভিনেত্রীকে ডেকে পাঠানোও হয়েছিল। গত শুক্রবার কুপার হাসপাতালে গিয়ে পায়েলকে মেডিক্যাল পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি পায়েল ঘোষের আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, অভিযোগকারিণীকে ডেকে পাঠানো হলেও, অভিযুক্ত অনুরাগ কাশ্যপকে কেন এখনও গ্রেফতার করল না পুলিশ?
ট্যুইট করে প্রশ্ন তুলেছেন পায়েলের আইনজীবী নীতিন সতপুতে। তিনি সেখানে লিখেছেন, ‘কোনও গরিব মানুষ যখন ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত হন, পুলিশ তো তখনই তাঁকে গ্রেফতার করে। কোনও প্রমাণ ছাড়াই। আইন কি তাহলে গরিব ও বড়লোকদের জন্য আলাদা?’ গত ২২ সেপ্টেম্বর পরিচালক অনুরাগ কশ্যপের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে মুম্বইয়ের ভারসোভা থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ। মঙ্গলবার পায়েলের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৬, ৩৫৪, ৩৪১ এবং ৩৪২ ধারা অনুযায়ী অনুরাগের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
‘পটেল কি পঞ্জাবি শাদি’ নামক বলিউড ছবিতেও কাজ করেছেন বাঙালি এ অভিনেত্রী। তবে গত শনিবার সংবাদ শিরোনামে আসেন অন্য কারণে। পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুললেন তিনি। ট্যুইটারে অনুরাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন পায়েল।
গত সপ্তাহে কটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘খুব বাজে ভাবে অনুরাগ কাশ্যপ আমাকে জোর করেছিলেন। পিএমও ইন্ডিয়া নরেন্দ্র মোদীজি এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুন এবং দেশকে দেখান যে এমন একজন সৃজনশীল মানুষ আসলে কতটা শয়তান।
আমি জানি এর পর আমার নিরাপত্তায় টান পড়বে। দয়া করে সাহায্য করুন’। এই অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পরই জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা ট্যুইট করেছেন। সেখানে পায়েল ঘোষের ট্যুইটকে রেখে তাঁকে বিস্তারিত অভিযোগ জানানোর আবেদন করেছেন তিনি। একইসঙ্গে জাতীয় মহিলা কমিশনকে পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন।
এ দিকে, পায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তাঁর দাবি, অনুরাগ এমন কাজ করতেই পারেন। তিনি নিজেও বহু নায়কের থেকে একই ব্যবহার পেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন কঙ্গনা। পায়েল ঘোষের আনা যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রসঙ্গে অনুরাগ কাশ্যপকে তীব্র ট্যুইট-বাণে বিঁধেছেন কঙ্গনা।
ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘যত দূর জানি অনুরাগ নিজেই স্বীকার করেছেন, বিবাহিত থাকার সময়েও কোনও এক জনের ব্যাপারে বিশ্বস্ত ছিলেন না তিনি। পায়েল যে অভিযোগ এনেছেন, তা বলিউডে খুবই প্রচলিত একটি বিষয়। বাইরের জগৎ থেকে আসা অভিনেত্রীদের যৌনকর্মী হিসেবে প্রায়ই ব্যবহার করেন ওঁরা।’