মাদক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনসিবি-র (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো) জেরার সময স্ত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের পাশে থাকতে চান স্বামী রণবীর সিংহ। এনসিবি-র কাছে একটি লিখি আবেদনপত্রে সেই আর্জি জানিয়েছেন বলিউডের নায়ক। তাঁর বক্তব্য, দীপিকা মাঝে মাঝেই অ্যাংজাইটিতে ভোগেন।
পরিস্থিতি বিশেষ ঘন ঘন প্যানিক অ্যাটাকও হয় তাঁর। সেইজন্যই তিনি জেরার সময স্ত্রী-র পাশে থাকতে চান। বস্তুত, গোয়া থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের উড়ানে যখন দীপিকা মুম্বই ফেরেন, তখনও তাঁর পাশেই ছিলেন রণবীর। বিমানবন্দর থেকে বেরোনর সময়েও স্ত্রী-র হাত শক্ত মুঠোয় ধরে রেখেছিলেন তিনি। ফলে জেরার সময়েও তাঁর দীপিকার সঙ্গে হাজির থাকার আবেদন অপ্রত্যাশিত নয়।
কিন্তু ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। আরও দেখার, এনসিবি রণবীরকে সেই অনুমতি দেয় কি না। অভিনেত্রীর শারীরিক সুস্থতার বিষয়টি মাথায় রাখলেও যদি সত্যিই এমন হয়, তা হবে সাম্প্রতিককালে নজিরবিহীন।
এনসিবি এখনও রণবীরের আবেদনের কোনও উত্তর দেয়নি।
বৃহস্পতিবার রাত ৮.১৫ নাগাদ গোয়া থেকে চাটার্ড উড়ানে মুম্বইই অভিমুখে রওনা দেন দীপিকা। তাঁর ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশও সঙ্গে ছিলেন। প্রসঙ্গত, প্রথমে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুম্বই পৌঁছনোর কথা ছিল দীপিকার। পরে পরিকল্পনা বদল করেন দীপিকা। মুম্বই থেকে গোয়া পৌঁছন রণবীর। এর পর স্বামী রণবীরের সঙ্গেই গোয়া থেকে মুম্বই ফেরেন দীপিকা’।
দিন কয়েক আগে পরিচালক শকুন বাত্রার শ্যুটের জন্য গোয়া গিয়েছিলেন দীপিকা। শ্যুট চলছিলও জোরকদমে। কিন্তু আচমকা বছর তিনেকের পুরনো এক হোয়াটস্অ্যাপ চ্যাট এনসিবি-র হাতে আসায় সমস্ত পরিকল্পনা ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। চ্যাটে দেখা যায়, ‘ডি’ এবং ‘কে’ নামে দুই ব্যক্তির মধ্যে মাদক প্রসঙ্গে একাধিক বার কথা চালাচালি হয়েছে। কখনও ‘ডি’ প্রশ্ন করছেন ‘কে’-কে, ‘মাল’ আছে কি না।
কথা হচ্ছে গাঁজা এবং ‘হ্যাশ’ নিয়েও। এনসিবি-র অনুমান, ‘ডি’ হলেন দীপিকা। ‘কে’ দীপিকার ম্যানেজার করিশ্মা। সে কারণেই তাঁদের জেরার জন্য সমন পাঠানো। তবে নেটাগরিকদের একাংশ মনে করছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের কৃষি বিলের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে কৃষক বিক্ষোভের ঘোষিত কর্মসূচি থেকে নজর ঘোরাতেই বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মাদক মামলায় জড়িয়ে ফেলে ডেকে পাঠানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে জেএন ইউ-এ ছাত্রদের একাংশের উপর হামলার প্রতিবাদে সেখানে গিয়ে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দীপিকা। তখন থেকেই বিজেপি তাঁর ‘ঘোষিত বিরোধী’। পাশাপাশিই, এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা সরাসরি জানিয়েছিলেন,
তিনি রাহুল গাঁধীকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর হিসেবে দেখতে চান। সেই কারণে এই তলব ‘রাজনৈতিক’ কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।