প্রথম সারির একজন করোনা যোদ্ধার কথা বলছি যে মানুষটি দিনরাত একাকার করে মানুষের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন সেই করোনা যোদ্ধা কামরুজ্জামান জসিম এখন নিজেই করোনায় আক্রান্ত।শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নমুনা পরিক্ষার রিপোর্টে তার করোনা পজেটিভ আসে।
বর্তমানে তিনি খুলনা ডক্টরস পয়েন্টে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।দেশের করোনা পরিস্থিতে মোংলার মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে পড়েছিল ঠিক সেই মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।তাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন।সাধারন মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে কাজ করে চলেছেন অবিরত।
করোনাকালীন সময়ে টানা বর্ষনে যখন পৌর এলাকার অধিকাংশ রাস্তা,বাড়িঘর ডুবে গিয়েছিল তখন স্থানীয়দের নিয়ে সেই রাস্তা মেরামত করেছেন।প্রকাশ্যে সহযোগিতার পাশাপাশি অনেক পরিবারকে তিনি গোপনে সহযোগিতা করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে মোংলা এলাকায় সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতেও তিনি অনেক অবদান রেখেছেন।বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশুদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।বিশেষ করে পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি মসজিদের অবকাঠামো উন্নয়নেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
মাদক বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন তিনি।মোংলা উপজেলার শতাধিক সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।উদীয়মান তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।হাজারো মানুষের ভালবাসায় অভিষিক্ত শেখ কামরুজ্জামান জসিম মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শেখ আব্দুল হাই এবং বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস কামরুন নাহার হাই-এর বড় সন্তান।
করোনায় আক্রান্ত শেখ জসিমের জন্য মোংলাবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার।আবার সেই মামার ঘাট,শাপলা চত্বর ফেরিঘাট,চৌধুরীর মোড় মূখরিত হয়ে উঠবে কখনো বা মাইক হাতে কখনো বা লিফলেট বিতরণ করে আবার কখনো বা মাস্ক হাতে মানুষের পিছনে ছুটে চলা এই মহান মানুষটি দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার ফিরে আসবেন সকলের মাঝে।
এমন প্রত্যাশা সকলের।”পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা শুধু দিয়ে যায় বিনিময়ে কিছুই পেতে চায়না,কামরুজ্জামান জসিম তাদের একজন।