হিন্দি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের তৃতীয় দফা কেমোথেরাপি হবে আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর ৷মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালেই ৷
এখন তিনি দুবাইয়ে ৷ দ্বিতীয় দফার কেমো শেষ হওয়ার পরে, মাত্র কয়েকদিন আগে তিনি স্ত্রী মান্যতার সঙ্গে সেখানে গেছেন ৷
কারণ, পড়াশোনার কারণে তাঁদের দুই যমজ সন্তান ইগরা ও শাহরানের পক্ষে মুম্বাই আসা সম্ভব হচ্ছিল না ৷ অথচ, তাদের দেখার জন্য সঞ্জয় উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন ৷
প্রসঙ্গত, গত আগস্টের গোড়ায় সঞ্জয় দত্তের ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে৷ এবং সেটা “থার্ড স্টেজ” ৷ সেই সময় বিদেশে যাওয়ার সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে, চিকিৎসা শুরু হয় মুম্বাইতেই ৷ কোকিলাবেন হাসপাতালে ৷
ইতিমধ্যে দুই প্রস্থ কেমোথেরাপি তাঁর শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে ৷ এবং সঞ্জয় যথেষ্ট ভালভাবেই তা নিতে পেরেছেন ৷ যদিও এইধরণের কেমো নেওয়া খুবই কষ্টকর ৷ তাই দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার ব্যাপারে “সঞ্জুবাবা” (তাঁর ডাকনাম) এখন অত্যন্ত আশাবাদী ৷ তিনি তাঁর প্রযোজকদের ইতিমধ্যে জানিয়েও দিয়েছেন যে, খুব শীঘ্রই শ্যুটিঙে ফিরতে পারবেন ৷
যদিও, প্রযোজকদের কোনও তাড়াহুড়ো নেই ৷ তাঁরা চাইছেন, সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েই সঞ্জয় দত্ত কাজে ফিরুন ৷ সঞ্জয়ের “শামশেরা”-র শুটিং শেষ ৷ সামান্য কিছু “প্যাচওয়র্ক” বাকি আছে মাত্র৷ এছাড়াও তাঁর হাতে রয়েছে আরও তিনটি ছবি ৷ “তোরবাজ”, “পৃথ্বীরাজ” এবং “কেজিএফ-২”৷
গোড়া থেকে যে চিকিৎসকের অধীনে সঞ্জয় দত্ত রয়েছেন, সেই ডা: জলিল প্রকার জানালেন, সঞ্জয়কে আরও কতগুলি কেমোথেরাপি নিতে হবে, তা এখনই সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না ৷ যদিও, এই কষ্টকর যুদ্ধের প্রথম দুটি ধাপ তিনি অত্যন্ত অনায়াসেই পেরিয়ে এসেছেন ৷