বলিউড দিনে দিনে অশান্ত হয়ে উঠছে। একাধারে গোটা ভারত জুড়ে করোনার প্রকোপ। অন্য দিকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে বলিউড জুড়ে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা। আর এই অস্থিরতা দিনদিন বেড়েই চলছে।
বিশেষ করে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে মাদকের বিষয়টি উঠে আসার পর এই অস্থিরতা আরও তীব্রতর হয়ে উঠেছে।
বেরিয়ে আসছে বলিউড তারকাদের বিভিন্ন গোপন ও অজানা তথ্য, যা বলিপ্রেমিদের ফেলছে ঘোর রহস্যান্ধকারে। তাই তৈরি হচ্ছে নানা প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা। এই অস্থিরতার মধ্যে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত।
এর মধ্যে বলিউডকে তিনি ‘নর্দমা’র সঙ্গে তুলনা করে তোলপাড় করে তুলেছেন চারপাশ।
এর প্রতিবাদে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কড়া জবাব দিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ও সমাজবাদী পার্টির সংসদ সদস্য জয়া বচ্চন।
তিনি বলেন, ‘কিছু লোকের জন্য গোটা বলিউডের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বিনোদন ভুবন থেকে আসা এক সংসদ সদস্য বলিউড সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন, তাতে আমি লজ্জিত। বিশ্ব বিনোদনের অন্যতম জায়গা বলিউডকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তারা যে থালায় বসে খায়, সেই থালারই দুর্নাম গায়। ’
৭২ বছর বয়সী জয়া আরও জানান, এখন পর্যন্ত যে কয়েকটি অভিযোগ উঠেছে, তার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত প্রমাণিত নয়।
কঙ্গনার পর জয়ার এমন পাল্টা মন্তব্যে তোলপাড় সামাজিক মাধ্যম। এমনকি এই মাধ্যমটিতে তিনি আক্রমনের মুখে পড়েছেন। আর এই পরিস্থিতি হতে পারে আরও ভয়ঙ্কর- এমন আশঙ্কায় বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলো মুম্বাই পুলিশ। বচ্চন পরিবারের জন্য করা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা। অমিতাভ বচ্চনের বাংলো ‘জলসা’র বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী।
সংসদ অধিবেশনের শুরুর দিনেই বলিউডে মাদক চক্রের অভিযোগ তুলে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন অভিনেতা ও বিজেপি সংসদ সদস্য রবি কিষাণ। মাদক চক্রের পেছনে পাকিস্তান, চীনের যোগ থাকতে পারে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। সংসদে সেই বক্তব্যেরই প্রতিবাদ জানান জয়া।
ওইদিন জয়া প্রতিবাদ জানিয়ে আরও বলেন, দেশের বেহাল অর্থনীতি এবং বেকারত্ব থেকে নজর ঘোরাতেই বলিউডে মাদক চক্রের অভিযোগ নিয়ে বিজেপি নেতারা হইচই শুরু করেছেন।
জয়ার এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে বিভিন্ন দিক থেকে। জয়ার মন্তব্যের পাল্টা প্রশ্ন তোলেন কঙ্গনা। বলেন, ‘যদি জয়া বচ্চনের ছেলের কিংবা মেয়ের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা ঘটতো, তা হলে কী এমন কথা বলতে পারতেন তিনি?’
সামাজিক মাধ্যমে জয়ার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। তবে তার মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনার ঢেউও উঠেছে। যে কারণে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলো মুম্বাই পুলিশ।