1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিগত ৩ নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কমিশন শাস্তির সুপারিশ করবে-বদিউল আলম সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে সরকারের বিব্রতকর অবস্থায় পড়া অস্বাভাবিক নয়-বিএনপি মহাসচিব ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজনদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে- এ এল এম ফজলুর রহমান সচিবালয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন জাহাজে ৭ খুনের রহস্য উদঘাটন গণহত্যা ও সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িতদের বিএনপিতে নেয়া হবে না-বিএনপি মহাসচিব বড়দিন উপলক্ষে আতশবাজি-পটকা-ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করে ডিএমপির গণবিজ্ঞপ্তি জারি মেঘনা নদীতে জাহাজ থেকে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার কার্যকর করার মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ও সংস্কার কমিশন-আইন উপদেষ্টা

আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস

  • সময় : শনিবার, ৬ জুন, ২০২০
  • ২৫৫

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আগামীকাল ৭ জুন, রোববার । ১৯৬৬ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়।

এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গী, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে তৎকালীন পুলিশ ও ইপিআরের গুলিতে মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১০ জন বাঙালি শহীদ হন। এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আপসহীন সংগ্রামের ধারায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যায় পরাধীন বাঙালি জাতি।

প্রতিবছর বিভিন্ন কমূসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসলেও করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে জনসমাগম পরিহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এ বছর দিবসটি উদযাপন করা হবে।

আওয়ামী লীগ ৭ জুন ‘ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস’- যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করে। তবে এ বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সৃষ্ট সংকটে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সব ধরনের জনসমাগমপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহার করে আসছে।

স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত পরিসরে দেশবাসীকে ঐতিহাসিক ৭ জুনের সব বীর শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং বাঙালি জাতির স্বাধীনতা, মুক্তি, গণতন্ত্র ও প্রগতি প্রতিষ্ঠায় আত্মদানকারী শহীদ সন্তানদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে পরম করুণাময়ের নিকট এ দিনটিতে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

আগামীকাল ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’র পক্ষ থেকে একটি অনলাইন আলোচনা সভা এবং তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইন আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ছয় দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে যাতে এটি স্থান পায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজক পক্ষ গুরুত্ব প্রদান করেনি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে।

প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ছয় দফা উত্থাপন করেন। এ নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বলে চিহ্নিত করা হয়। পরে ঢাকায় ফিরে বঙ্গবন্ধু ১৩ মার্চ ছয় দফা এবং এ ব্যাপারে দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে পাস করিয়ে নেন।

ছয় দফার মূল বক্তব্য ছিল- প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সব ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দুটি পৃথক ও সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর, শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ববাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা-সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দপ্তর স্থাপন।

বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ছয় দফা দাবির মুখে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খান বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ছয় দফা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অস্ত্রের ভাষায় উত্তর দেওয়া হবে।

এদিকে ছয় দফা কর্মসূচি জনগণের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সমগ্র পূর্ববাংলা সফর করেন এবং ছয় দফাকে বাঙালির বাঁচার দাবি হিসেবে অভিহিত করেন। ফলে শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। যশোর, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ অন্যান্য কয়েকটি স্থানে ছয় দফার পক্ষে প্রচারকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হন। পরবর্তী সময়ে ঐতিহাসিক ছয় দফাভিত্তিক নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনই ধাপে ধাপে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত হয়।

এ দাবির সপক্ষে বাঙালি জাতির সর্বাত্মক রায় ঘোষিত হয় ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বাঙালিরা বিজয়ী করে।

অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর দলকে জনগণ বিজয়ী করলেও স্বৈরাচারী পাক শাসকরা বিজয়ী দলকে সরকার গঠন করতে না দিলে আবারও বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪