আওধের শেষ নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের প্রপৌত্র, লক্ষ্ণৌয়ের প্রিন্স ড. কওকাব কাদের সাজেদ আলি মির্জার মৃত্যূ হল করোনায় ৷ কলকাতার বাড়িতে ৷ এতদিন এখানেই তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও চার মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন ৷ খিদিরপুরের ভূকৈলাশ রোডে৷
প্রসঙ্গত, লক্ষ্ণৌয়ের নবাবদের সঙ্গে চিরকালই কলকাতার একটা অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক ছিল৷
ওয়াজিদ আলি শাহ তাঁর শেষ জীবন কাটিয়েছিলেন কলকাতাতেই৷৮৭ বছরের ড. কওকাব কাদের দীর্ঘদিন যাবৎ বার্দ্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন ৷ হঠাৎ গত সপ্তাহে তাঁর শরীরে করোনার কয়েকটি উপসর্গ দেখা দেয় ৷ সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট আসে “পজিটিভ” ৷ চিকিৎসা শুরু হয় ৷ কিন্তু, শেষরক্ষা হয় না ৷ গতকাল গভীর রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৷
মির্জা বিরজিস কাদেরের পুত্র কওকাব কাদের একসময় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন ৷ ১৯৯৩ সালে তিনি সেখান থেকেই অবসর নেন ৷ ঊর্দু ভাষাতেও তাঁর বিশেষ পান্ডিত্য ছিল ৷ তাঁর স্ত্রী ছিলেন লক্ষ্ণৌয়ের বিখ্যাত শিয়া ধর্মীয় পরিবারের সদস্য মামলিকাত বদর ৷ ওয়াজিদ আলি শাহের ওপর একাধিক গবেষণাও তিনি করে গেছেন ৷ সত্যজিৎ রায় যখন “শতরঞ্জ কি খিলাড়ি” ছবিটি তৈরি করেন,
তখন নানা গবেষণা কাজে তিনি সাহায্য করেছিলেন ৷ অন্যদিকে, বিলিয়ার্ড ও স্নুকার-এর অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে আজও ভারতে কওকাব কাদের সাজেদ আলি মির্জার নামই করা হয় ৷