যাকে দেখে অনেকেই পাশের দেশের অভিনেতা মনে করে ভুল করেন। টগবগে তরুন, একহারা গড়ন, অভিনয়, নাচ, ফাইট সবকিছুই পারফেক্ট। মোবাইল অপারেটরের বিজ্ঞাপন দিয়ে যাত্রা শুরু। প্রচুর সাড়াও পেয়েছিলেন। দেশের সবকটি টেলিভিশন চ্যানেলে সারাদিন বিজ্ঞাপনটি প্রচারের সুবাদে এবং তার সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রিয় মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। পুরো নাম সুমিত সেনগুপ্ত। মিডিয়ায় সবাই সুমিত নামেই চিনেন।
মডেলিং এর সুবাদেই পরিচালকদের সুনজরে আসেন সুমিত। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় ও করেছেন। সফলতাও পেয়েছেন। তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘সেদিন বৃষ্টি ছিল’, ‘মিয়া বিবি রাজি’, ‘মহুয়া সুন্দরী’ ও ‘পদ্মার প্রেম’ ইত্যাদি। এছাড়া তার বেশকিছু সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানে আলোচিত সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’ দুই পর্বেই গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন সুমিত।
করোনার প্রকোপে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতও সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রিও ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন সিনেমার সব ধরনের কাজ বন্ধ ছিল। এখন আবার আস্তে ধীরে কাজ শুরু হয়েছে।সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সুমিত যুক্ত হয়েছেন নতুন একটি সিনেমায়। এর নাম ‘ছায়াবৃক্ষ’।
২০১৯-২০ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য বিভাগে ৫০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছে ‘ছায়াবৃক্ষ’। অনুপম কুমার বড়ুয়ার প্রযোজনায় ছবিটি পরিচালনা করবেন বন্ধন বিশ্বাস।
‘ছায়াবৃক্ষ’র কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য তানভীর আহমেদ সিডনির লেখা। এর গল্প চা শ্রমিকদের জীবনের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না নিয়ে। এর আগেও অনুপম কথাচিত্রের ব্যানারে ‘বান্ধব’ শিরোনামের সরকারি অনুদানের আরও একটি ছবিতে কাজ করেছেন সুমিত। বর্তমানে ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
সুমিত জানান, তিনি সবসময় মান সম্মত কাজ করতে চেয়েছেন। সুমিত বলেন আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করেছি। চাইলেই অন্য যে কোন পেশায় থাকতে পারতাম। কিন্তু অভিনয়কে আমি খুব ভালোবাসি। আমি যখন থাকবোনা তখন যেন আমার অভিনীত সিনেমা দেখে আমাকে সবাই মনে রাখেন।
আমি অনুদানের যে দুটি ছবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি দুটি ছবির গল্পই একটু অন্যরকম। একটির কাজ শেষ মুক্তির অপেক্ষায়। আর অন্যটির কাজ শুরু হবে। আমার বিশ্বাস কাজ গুলো আমার ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ করবে।