ইচ্ছা থাকলে যে উপায় হয়, আমরা সবাই সেই বিষয়টি প্রমান করতে চেয়েছিলাম। সবাই আমরা বয়সে তরুন আমরা নতুন কিছু করতে চেয়েছিলাম। আমাদের সর্বোচ্চ শ্রম আর মেধা দিয়ে আমরা একটি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলাম। সবকিছুই প্রতিকূল ছিল, পরিচালক আমাদের থেকে দূরে, ওনার নির্দেশনা মত নিজেরাই ক্যামেরা চালিয়েছি, অভিনয় করেছি, প্রফেশনাল কোন লাইট ডিজাইনার ছিলেন না হোটেলের রেগুলার লাইটে শুটিং করেছি।
সব কিছু মিলিয়ে আমাদের সবার জন্য কাজটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিলো। কথাগুলো বলছিলেন এই সময়ের তরুন প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেতা সাঞ্জু জন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সারা পৃথিবী যখন থমকে গিয়েছিল ঠিক তখন মোবাইল ক্যামেরায় ওয়েব ফিল্ম নির্মাণ করে চমক সৃষ্টি করেছেন তরুণ নির্মাতা আহমেদ জিহাদ। আর এটিই দেশে মোবাইল ক্যামেরায় নির্মিত প্রথম কোন থ্রিলার ওয়েব ফিল্ম।
পরিচালক আহমেদ জিহাদ বলেন, ‘লকডাউনের সময় আমার অভিনেতাদের সঙ্গে ছবিটি নিয়ে কথা বলি। তারা সবাই রাজি হয়ে যায়। জিরো বাজেটের ছবি। কেউ কোন পারিশ্রমিক নেননি। আসলে আমরা এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। চেয়েছি জিরো বাজেটেও ছবি নির্মাণ সম্ভব তা দেখিয়ে দিতে।’
ছবিটি অনলাইন প্লাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। যারাই ছবিটি দেখেছেন সবাই সিনেমাটির নির্মানশৈলী, অভিনেতাদের অভিনয়, সবকিছুরই ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। অভিনেতা সাঞ্জু জন বলেন, ‘এটা পুরোপুরি অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা।
সিনেমার টিজার প্রকাশের পর থেকেই সবার কাছ থেকে খুব ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। আর এখন ছবিটি মুক্তির পরে যারাই ছবিটি দেখেছেন অনেকেই ফোন করেছেন, স্যোসাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমরা যে চ্যালেঞ্জটি নিয়েছিলাম মনে হয়েছে আমরা সাকসেসফুল হয়েছি। আমি সবাইকে ছবিটি দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
ওয়েব ফিল্মটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাঞ্জু জন, ইমতু রাতিশ ও তন্ময়। সাউন্ড ডিজাইনে ছিলেন মজুমদার ইশতি। মিউজিক কম্পোজার হিসেবে মুম্বাইয়ের রজত এবং সুনীল। ‘থ্রি’ ফিল্মের টাইটেল ট্র্যাক তাদেরই করা। বলা যায় পুরোপুরি সিনেমার আমেজ নিয়েই কাজ করা হয়েছে এই ওয়েবফিল্মের।
গতানুগতিকের বাইরে এসে দর্শকেরা নতুনত্বের স্বাদ পাবেন এই ফিল্ম দেখে এটাই আশা ফিল্ম সংশ্লিষ্ট সকলের।
সাঞ্জু জানান এখন তিনি সোলমেট সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এতে জুটি বেঁধেছেন বিপাশা কবিরের সঙ্গে। রোমান্টিক থ্রিলারধর্মী ওয়েব ফিল্ম ‘সোলমেট’-এ বিপাশা-সাঞ্জু জন ছাড়াও আরো থাকছেন ‘ঢাকা অ্যাটাক’ খ্যাত অভিনেতা তাসকিন আহমেদ ও সোহাগ বিশ্বাস। ওয়েব ফিল্মটির মূল ভাবনা পরিচালক বাপ্পি খানের নিজের। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন অনামিকা মণ্ডল।
নির্মাতা জানান, ‘এটা আমার প্রথম ওয়েব ফিল্ম, সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করছি। আমি বিশ্বাস করি ওয়েব ফিল্মটি যখন দর্শকরা দেখবেন খুব ভালো লাগবে।