চীনের উহানের এক গবেষণা বলছে, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভোগা রোগীরা অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ ঝুঁকিতে রয়েছেন। যারা আক্রান্ত হওয়ার পরও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তারা সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঝুঁকিতে বলেও মনে করছেন তারা।
গবেষণায় দেখা যায়, করোনাভবাইরাসের কারণে মৃতদের মধ্যে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষের হাইপারটেনশন ও এ সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। আর এই সমস্যা না থাকাদের মধ্যে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ১ দশমিক ১ শতাংশ।
দ্য টেলিগ্রাফের বরাতে জানা যায়, গবেষকরা আক্রান্ত রোগীর বয়স, লিঙ্গ, অন্যান্য শারীরিক সমস্যা এবং করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট প্রভাব বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে, যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা বেশি সমস্যায় পড়েছেন।
চীনা অধ্যাপক ফেই লি বলেন, এটা জানা জরুরি যে, যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা আছে তারা করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন। এই মহামারিতে তাদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। যদি আক্রান্ত হয়ে যায়, তাহলে অন্যান্য রোগী থেকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে তাদের চিকিৎসা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে গবেষণা চলাকালীন ১৪০ জন এমন রোগী পাওয়া গেছে, যারা বিভিন্ন কারণে হাইপারটেনশনের ওষুধ সেবন বন্ধ করে দিয়েছেন। এরা ভাইরাসটিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বড় ঝুঁকিতে ফেলেছিল নিজেদের। চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ সেবন বন্ধ না করার পরামর্শও থাকবে আমার।
চীনের শিজিং হাসপাতালের অধ্যাপক লিং তাও বলেন, ফেব্রুয়ারির দিকে দেখলাম, হাসপাতালে করোনায় মৃত অর্ধেকের বেশি রোগীর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। এদের বেশিরভাগই আবার মৃদু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিল। এত উচ্চ মৃত্যুর হার সত্যি আশ্চর্যজনক।