আবারও #মিটু তীরে বিদ্ধ পরিচালক সাজিদ খান। নাবালিকা মডেল-অভিনেত্রীকে ছবিতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে নগ্ন হওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণী মডেল-অভিনেত্রী পাওলা।
নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে পাওলা লেখেন, “যখন #মিটু ঝড় ওঠে তখন ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই সাজিদ খানের বিরুদ্ধে মুখ খোলে। আমি কিছু বলার সাহস পাইনি। কারণ ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কোনও গডফাদার ছিল না। আর পরিবারের জন্য রোজগার করার প্রয়োজন ছিল আমার। এখন আমার সঙ্গে আমার পরিবার নেই। তাই আজ বলতে দ্বিধা নেই মাত্র ১৭ বছর বয়সে ওই পরিচালক আমায় শারীরিক নির্যাতন করেছিল”।
এখানেই শেষ নয়, পাওলা লেখেন সাজিদ খানের ছবি ‘হাউজফুল’-এ একটি চরিত্র পাইয়ে দেওয়ার নামে ওই অভিনেতা তাঁকে নোংরা কথা বলেন। ইচ্ছার বিরুদ্ধে শরীরের নানা জায়গায় স্পর্শ করার চেষ্টাও করেন। পাওলার কথায়, “এখানেই শেষ নয়। সাজিদ আমাকে তার সামনে স্ট্রিপ করার প্রস্তাব দেয়। জানায়, তার সামনে বিবস্ত্র হলে সে আমায় রোল পাইয়ে দেবে”।
বছর দশেক আগে অর্থাৎ ২০১০ সালের ৩০ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছিল ‘হাউজফুল’। এত দিন তবে চুপ ছিলেন কেন? সে প্রশ্নের উত্তর পাওলা নিজেই দিয়েছেন পোস্টে। তাঁর কথায়, “মাথার উপর কেউ ছিল না। আমার সাহস ছিল না সাজিদের বিরুদ্ধে কথা বলার।“ পাওলা মেনে নেন সে সময় চুপ থেকে তিনি ভুল করেছিলেন। তিনি লেখেন, “ওর জায়গা জেল। শুধু কাস্টিং কাউচের অপরাধই নয়। এক নবাগতার স্বপ্নকে ছিনিয়ে নিয়েছিল ও। জানি না আর কত মেয়ের সঙ্গে এমন করেছে ওই ব্যক্তি”।
পাওলা থামেননি। তিনি পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, “গণতন্ত্র শেষ হয়ে যাওয়ার আগে আমার মনে হল এ বার আমার মুখ খোলা দরকার”। পাওলার ওই পোস্টে সাজিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে নেটাগরিকদের একাংশ। টুইটারে ট্রেন্ড উঠেছে #অ্যারেস্ট সাজিদ খান। যদিও সাজিদ এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি। পাওলা একজন মডেল। তাঁর স্কিনটোন এবং ফিউশান লুকের জন্য তিনি মুম্বইয়ে বেশ পরিচিত নাম।
বিভিন্ন প্রসাধনী সংস্থার মুখও তিনি। অন্য দিকে সাজিদ সম্পর্কে পরিচালক ফারহা খানের ভাই। ‘হাউজফুল’ সিরিজের চারটি ছবি সহ ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘হামসকল’-এর পরিচালক তিনি। কয়েক বছর আগে শোনা গিয়েছিল অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। যদিও কিছু দিনের মধ্যেই তা ভেঙে গিয়েছিল বলে খবর।
বছর দু’য়েক আগে হলিউড পেরিয়ে #মিটু ঝড় আছড়ে পড়ে বলিউডেও। এক এক করে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় নানা পটেকর থেকে অনু মালিকের মতো নামজাদা ব্যক্তিত্বদের। সেই ঝড়ে বিদ্ধ হন সাজিদও। অভিনেতা অহনা কুমার থেকে শুরু করে এক নামজাদা পত্রিকার সাংবাদিক সাজিদের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ,
শারীরিক হেনস্থা করার অভিযোগ আনেন। সে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।
আবারও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। স্বজনপোষণের ঝড়ের পাশাপাশি আবারও কি #মিটু ঝড় উঠতে চলেছে বলিউডে?