অতিরিক্ত ওজন নিয়ে আগেই সাবধান করেছে ব্রিটেন। তেল-ঝাল-মশলাদার খাবারে রীতিমতো আইন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা। এ বার একই কথা শোনা গেল মার্কিন বিজ্ঞানীদের মুখেও। তাঁরা বলছেন, করোনা-সংক্রমণ বা তাতে জটিলতার আশঙ্কা বিচার করলে, অতিরিক্ত ওজন অনেকটা ‘আগুনে ঘি ফেলার মতো’। দক্ষিণ ক্যালিফর্নিয়ার ‘কাইজ়ার পারমানেন্টে’-এ গবেষণারত সারা টারটফ এই রিসার্চ-দলের অন্যতম সদস্য।
তিনি জানিয়েছেন, ৫২০০ জন করোনা-রোগীকে নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ স্থূলকায় চেহারার। সারা জানান, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কো-মর্বিডিটি থাকুক বা না-থাকুক, অন্য সব জটিলতার তুলনায় অতিরিক্ত ওজনে রোগীর আইসিইউ-এ ভর্তির প্রবণতা বাড়ছে। গবেষকদের মতে, বাড়তি মেদের দাম দিতে হচ্ছে আমেরিকা-সহ বেশ কিছু দেশকে। গত কয়েক দশকে মার্কিন বাসিন্দাদের মধ্যে ওজন-বৃদ্ধির হার চোখে পড়ার মতো।
এই মুহূর্তে দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ অতিরিক্ত ওজনের শিকার। গবেষকরা জানাচ্ছেন, কৃষ্ণাঙ্গ ও স্পেনীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যেও স্থূলকায় চেহারার প্রবণতা বাড়ছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শরীরে বাড়তি মেদ থাকলে করোনার বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতা কমে যায়। ফুসফুস সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ ও বর্জনের সময়ে ফুসফুসের বাড়া-কমা বাধা পায়। মধুমেহ বা হৃদ্রোগ না থাকলেও বিপদটা একই রকম, জানাচ্ছেন তাঁরা। এই গবেষণায় যুক্ত রয়েছেন ফরাসি বিজ্ঞানী ফ্রাঁসোয়া প্যাটিউ-ও।
তিনি জানান, শরীরের অতিরিক্ত ওজনের সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সরাসরি কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কি ফ্যাট-জাতীয় কোষ এই ভাইরাসের বাসা বাঁধার জন্য আদর্শ? পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে তা-ও। এ দিকে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সোমবার থেকে প্রকাশ্যে ছ’জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ হচ্ছে ইংল্যান্ডে।