1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পেনশন অ্যান্ড রিটায়ার্ড সার্ভিস সেকশন চালুর ঘোষণা দিলেন ডিএমপি কমিশনার গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ ভোটের প্রতি  মানুষের আস্থা ফিরেছে-ইসি আলমগীর থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী দেশে সামাজিক বিমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে-মন্ত্রিপরিষদ সচিব আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল নিউজিল্যান্ড আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী ৫ জেলার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে টাঙ্গাইলবাসী ভোমরা সীমান্ত থেকে ৪টি স্বর্নের বারসহ এক চোরাচালানীকে আটক করেছে বিজিবি

একুশে পদকপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা  মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুলের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৩৩

স্টাফ রিপোর্টার-

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর ও মরোণোত্তর একুশে পদকপ্রাপ্ত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপদেষ্টা সদস্য, সংবিধান প্রণেতা কমিটির সদস্য, টাঙ্গাইল জেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক, টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুলের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন প্রাক্তন রাজনীতিবিদ, ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। বিগত ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের সংগঠক ছিলেন। ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণেতা কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও টাঙ্গাইল জেলা আইনজীবী সমিতির টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন। মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি বিগত ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল সোমবার রাত পৌনে ১০টায় ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দ। টালমাটাল অস্থির অবিভক্ত ভারত-উপমহাদেশ। সেই ১৯৩২ সালের ২ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের দিঘুলিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল।

তিনি ১৯৫৩ সালে টাঙ্গাইল মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।  ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনে এবং নতুন দলের কার্যক্রমে তার বেশ ভূমিকা ছিল। ১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইল মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৬৯ সাল থেকে সু-দীর্ঘকাল টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের টানা ৪১ বছর সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, আব্দুল মান্নান, শামসুর রহমান খান শাহজাহান, ব্যারিস্টার শওকত আলী খান, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, বদিউজ্জামান খান, সৈয়দ আব্দুল মতিন, আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, প্রমুখের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। ১৯৭১ সালের ২৫  মার্চ রাতে পাকবাহিনী আক্রমণ করলে সন্তোষের কাগমারী ওয়ারলেসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে পরদিন ২৬ মার্চ সকালে টাঙ্গাইল শহরের আদালতপাড়ায় এ্যাডভোকেট নুুরুল ইসলামের বাড়িতে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেন মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল। এতে টাঙ্গাইল জেলা স্বাধীন বাংলা গণমুক্তি পরিষদ গঠন করা হয়। সেই থেকে  ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম ছিলেন মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল ।

তিনি ছিলেন  রাজনৈতিক নেতা একইসঙ্গে কর্মী এবং সংগঠক। সবসময় কর্মী তৈরি, তাদের প্রশিক্ষণ এবং মোটিভেশনাল পলিটিক্যাল ওয়ার্ক নিয়ে মগ্ন থাকতেন এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। কিছু পেতে নয়, কোনো মোহে নয় আদর্শবাদী এবং জনমুক্তির জন্যই তিনি দেশ মানুষ এবং মানবতার জয়গান গেয়েছেন। সেই কিশোর বয়সেই ব্রিটিশ কাল দেখেছেন, যুবক বয়সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত নিজ দলের পক্ষে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। কোনো দিন আপস করেননি কোনো অপশক্তির সঙ্গে। তাইতো সততা, নিষ্ঠা, ত্যাগের মহিমায় তিনি সততই মহৎ নির্ভেজাল রাজনীতির প্রতিবিম্ব।

পেশাগত জীবনে তিনি একজন আইনজীবী ছিলেন। টাঙ্গাইল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের সংকটকালে এবং দলের দুঃসময়ে সম্পূর্ণ বিনা ফিতে নিরীহ কর্মীদের মামলা এবং আইনি সহায়তা করেছেন। তিনি সবসময় নিরন্ন, সাধারণ এবং তৃণমূল কর্মীদের খোঁজখবর রেখে সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করতেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল করোনেশন ড্রামাটিক ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিলাসিতা কখনো তাঁকে ঘেষতে পারেনি।

বিবাহিত জীবনে তিনি দুই কন্যা ও তিন পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন। তার বড় জামাতা আবদুর রহমান  ফরিদপুর -১ আসনের একাধিক বারের  নির্বাচিত সাংসদ এবং বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তার বড় মেয়ে ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন বন্যা বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-রেজিস্ট্রার। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিকিৎসক হিসেবেও কাজ করেছেন।

তার ছেলে মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টু টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, এছাড়া টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রবীন এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী’তে দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে কবর জিয়ারত, প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে  মিলাদ মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪