স্টাফ রিপোর্টার-
মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের সন্দেহে শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর) ছেঁড়ার অভিযোগ তদন্তে কমিটি করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. টিটো মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক কাজী আফজালুর রহমানকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে আর কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডা. কামরুল আলম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামাল হোসেন।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ফলাফল ঘোষণার পর তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার গতিরোধ করে অভিযোগ জানান এক পরীক্ষার্থী হুমাইরা। এসময় কর্মকর্তারা হুমাইরার পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, ৯ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার সময় ওই পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন পরীক্ষা কেন্দ্রের একজন পর্যবেক্ষক। পরে ওই শিক্ষার্থী স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার ভেন্যুতে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের সন্দেহে একজন পর্যবেক্ষক ওই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন। পরে পর্যবেক্ষক খাতায় উত্তরের মিল না পেয়ে তার ভুল বুঝতে পারেন এবং নতুন ওএমআর শিট দেন। তবে তখন পরীক্ষা শেষ হতে আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল। বারবার অনুরোধ করার পরও পরীক্ষা পর্যবেক্ষক তাদের জন্য পরীক্ষার সময় বাড়াননি। তাৎক্ষণিকভাবে শেখ কামাল ভবনের ডিন অফিস রুমে যান হুমায়রা ও তার পরিবার। সমস্যা খুলে বললে তারা একপর্যায়ে নানা অজুহাত দেখিয়ে চলে যায়।
এরপর ভার্সিটির প্রো-ভিসি অলোক কুমার পাল এবং প্রক্টর মো. হারুনুর রশিদ সুমনকে বিষয়টি অবগত করা হয়। সবকিছু শুনে তারা অপারগতা প্রকাশ করেন এবং জানান তারা এই হলটি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজকে ভাড়া দিয়েছেন এবং এই ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই। তারা সোহরাওয়ার্দীর অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে সোহরাওয়ার্দীর প্রিন্সিপালের সঙ্গে ফোনে কথা বলা হয়। কিন্তু তার কাছে সন্তোষজনক কোনও সহযোগিতা পাননি বরং তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান এবং বলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরে যোগাযোগ করতে।
এই ঘটনায় হুমায়রার দীর্ঘদিনের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে গেছে বলে জানায় তার পরিবার। তারা এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দাবি করেছেন।