বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। অভিনেত্রীকে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়েছেন বলেও শোনা গিয়েছে। সুশান্ত সিং রাজপুত ইস্যু নিয়ে শিব সেনার সঙ্গে সংঘাতের পর একটা ক্ষেত্র তো প্রস্তুত ছিলই, এবার কঙ্গনাকে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে তাতেই যেন ঘৃতাহূতি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সূত্রের খবর, কঙ্গনা রানাউতের মা আশা রানাউত (Asha Ranaut) বিজেপিতে শামিল হয়েছেন। অন্যদিকে, কঙ্গনাকেও দলে চাইছে গেরুয়া শিবির। মেয়ের সুরক্ষার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) Y+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্যোগের সর্বসমক্ষে ভূয়সী প্রসংশা করেছেন আশাদেবী। “গোটা দেশবাসীর আশীর্বাদ রয়েছে আমার মেয়ের মাথায়। মা হিসেবে আমি গর্বিত যে কঙ্গনা সবসময়ে সত্যের হয়ে লড়ে এসেছে এবং এখনও লড়ে যাচ্ছে।
আমরা কোনও দিনই বিজেপিপন্থী ছিলাম না। কঙ্গনার দাদু একটা সময়ে কংগ্রেসের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এটা জানা সত্ত্বেও বিজেপির থেকে আমরা যথেষ্ট সমর্থন এবং সাহায্য পেয়েছি। তাই এবার থেকে বিজেপিকেই সমর্থন করব”, মন্তব্য কঙ্গনার মা আশা রানাউতের। এর পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও (Narendra Modi) ধন্যবাদ জানিয়েছেন কঙ্গনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুরক্ষিত করার জন্য।
তাঁর কথায়, “এবার থেকে আমরা মোদিজির সঙ্গে আছি।”প্রসঙ্গত কঙ্গনা রানাউতের বিজেপিপন্থী মনোভাব এর আগেও একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। তবে শুক্রবার সকালে একাধিক টুইটে সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে ‘বিদেশিনী’ বলে যেভাবে কটাক্ষ করেছেন কঙ্গনা, তাতে যেন তাঁর রাজনৈতিক ময়দানে অবতরণ করার জল্পনা আরও জোরালো হল। তাহলে কি সত্যিই বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’ এবার বিজেপির হয়ে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছেন? রাজনৈতিক মহলের অন্দরে কিন্তু ইতিমধ্যেই জোর শোরগোল শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার কঙ্গনার মুম্বই পৌঁছনোর আগেই বৃহন্মুম্বই পুরসভা অভিনেত্রীর বান্দ্রার অফিস ভাঙা শুরু করে দিয়েছিল। যার জেরে এবার আদালতের কাঠগড়ায় বিএমসি। যথাযথ তথ্য-প্রমাণ না দেখাতে পারলে উদ্ধব প্রশাসনকে বলিউড অভিনেত্রীর অফিস গড়ে দিতে হতে পারে। মহারাষ্ট্রের শাসক দল শিব সেনার সঙ্গে কঙ্গনার সংঘাত এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গেরুয়া শিবির সেটাকেই হাতিয়ার করে তুলেছে বর্তমানে।