সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুর মামলায় বড় পদক্ষেপ নিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হল রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) ভাই সৌভিক চক্রবর্তী (Showik Chakraborty) এবং হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে। সূ্ত্রের খবর, মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগেই সৌভিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুশান্ত মামলায় শুক্রবার সকাল থেকেই সক্রিয় ছিল এনসিবি।
এদিন রিয়া চক্রবর্তী এবং স্যামুয়েল মিরান্ডার (Samual Miranda) বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান এনসিবির আধিকারিকরা। এরপরই সৌভিক ও স্যামুয়েলকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর মধ্যেই মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কেইজান ইব্রাহিম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে এনসিবি। তারপরই সৌভিক ও স্যামুয়েলকে গ্রেপ্তারির কথা জানানো হয়। এর আগেই মুম্বই থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আবদুল বসিত, জায়েদ ভিলাত্রাকে ।
দু’জনকেই ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে নিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সূত্রের খবর, জেরার মুখে দু’জনেই সৌভিক চক্রবর্তী ও মিরান্ডার সঙ্গে তাদের যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নেয়। এমনকী, সুশান্তের মৃত্যুর ৩ দিনের মাথাতেও নাকি ওই দুজনের নির্দেশে ধৃতদের মধ্যে একজন ১০ গ্রাম মাদক পৌঁছে দিয়েছিলেন কোথাও। ফোন নম্বর লোকেশন ট্র্যাক করেও সেই প্রমাণ মিলেছে। শোনা গিয়েছে, প্রায় ৪-৫ জন মাদক কারবারির সঙ্গে সৌভিকের সম্পর্ক ছিল।
রিয়া নাকি তাঁর ভাই সৌভিককে দিয়ে নিজের বাড়িতে সবসময়েই যথাযথ পরিমাণে মাদকদ্রব্য সঞ্চিত রাখতেন, যাতে সুশান্তের কোনও অসুবিধে না হয়! এমনকী, স্যামুয়েল ও সৌভিক নিয়ে সুশান্তের বাড়ির ছাদে বসে রিয়াকে মাদক নিতে দেখা গিয়েছে বলেও খবর।
এরই মধ্যে, কিছুদিন আগে এক সর্বভারতীয় বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল সুশান্ত মামলাকে খুনের ঘটনার বদলে আত্মহত্যা হিসেবে দেখছে সিবিআই। তার জেরে সিবিআইয়ের (CBI) পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, পেশাদারভাবেই সুশান্ত মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তথ্য বাইরে প্রকাশ করা হয়নি।