ক্রীড়াদুনিয়ার চর্চার শীর্ষে লিও মেসি (Lionel Messi)। কী হবে তাঁর ভবিষ্যৎ? এটাই এখন লাখ থুড়ি কোটি টাকার সওয়াল। কারণ মেসি যে দলের জার্সিই গায়ে চাপান না কেন, বার্সেলোনার কাছ থেকে তাঁকে সহজেই কেড়ে নেওয়া যাবে না। এর জন্য বিরাট অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিতে হবে। রবিবার স্পষ্ট করে এ কথা জানিয়ে দিল লা লিগা। লা লিগার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, বার্সার সঙ্গে মেসির চুক্তি বৈধ। ক্লাব ছাড়ার শর্ত অনুযায়ী ৭০০ মিলিয়ন ইউরো না মেটালে নতুন ক্লাবে যেতে পারবেন না তারকা।
২০২১-এর ৩০ জুন পর্যন্ত বার্সার সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ ছিল। সেই চুক্তিতে উল্লেখ করা আছে, চলতি মরশুম শেষে মেসি নিজের ইচ্ছায় কোনওরকম শর্ত ছাড়াই ক্লাব ছাড়তে পারেন। তবে করোনার জেরে ২০১৯-২০২০ মরশুম পিছিয়ে যায় আগস্ট পর্যন্ত। সেই জন্যই মেসির আইনি দলের তরফে দাবি করা হয় এই শর্তটি এখনও নৈতিকভাবে প্রযোজ্য। এর আগে শোনা গিয়েছিল, বার্সেলোনার (Barcelona) সঙ্গে মেসির চুক্তি অনুযায়ী তাঁর ‘রিলিজ ক্লজ’ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ কোনও ক্লাব যদি এই মহারতারকাকে সই করাতে চায় তাহলে ক্যাটালার ক্লাবের হাতে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে দিতে হবে। তারপর আলাদা করে মেসির সঙ্গে চুক্তি করতে হবে।
কিন্তু বার্সার সঙ্গে মেসির চুক্তি শেষ হওয়ার কথা আগামী বছর জুনে। আর চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, শেষ হওয়ার এক বছর আগে ‘রিলিজ ক্লজ’ কমে হওয়ার কথা, ৩০০ মিলিয়ন ইউরোয়। যা কিনা এই মুহূর্তে অনেকগুলি ক্লাবের পক্ষেই দেওয়া সম্ভব। আরও একটা মজার বিষয় হল, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মেসি যদি চান তাহলে এই মুহূর্তে নিজেই বার্সার সঙ্গে নিজের চুক্তি শেষ করে দিতে পারেন। তবে, সেক্ষেত্রে আইনি জটিলটা আছে। বর্তমান চুক্তির ‘এক্সিট ক্লজ’ নিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা এবং বার্সার মধ্যে ঐকমত না হলে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে।
এদিকে, মেসি যে বার্সেলোনা ছাড়তে চাইছেন, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। রবিবার গোটা দলে জন্য বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্ট নির্ধারিত ছিল। কিন্তু দলের বাকিরা হাজির থাকলেও করোনা পরীক্ষা করালেন না মেসি। বার্সেলোনার তরফে জানানো হয়েছে দলে আর্জেন্টাইন তারকা ছাড়া সকলেই এদিন কোভিড টেস্ট করিয়েছেন। সোমবার থেকেই আগামী মরশুমের জন্য বার্সেলোনার অনুশীলন শুরু।