জর্জ ফ্লয়েড হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য। তবে নিউইয়র্কে পুলিশের ওপর আন্দোলনকারীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ নিরাপত্তা বাহিনীর।
এদিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ মোতায়েন করে তা কেনো সহিংস করে তোলা হচ্ছে জানতে চেয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বের নানা দেশে বর্ণবাদবিরোধীদের মুখে মুখে এখন জর্জ ফ্লয়েডের নাম। জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মতো ওয়াশিংটনেও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এ হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডের মৃত্যু যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে এর আগেও পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা ও নির্যাতনের বহু স্মৃতিকে।
বিক্ষোভ হয়েছে নিউইয়র্ক সিটিতেও। গত কয়েকদিনের মতো হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে শুরু করলেও পরে তা সহিংসতায় রুপ নেয়। পুলিশের অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের গুলিতে তাদের কয়েকজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। নিউইয়র্ক মেয়র বিল ডি ব্লাজিও পুলিশের ওপর এমন হামলার নিন্দা জানান। পুলিশের সহিংসতার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা তার এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হলেও বিক্ষোভে উপস্থিত থাকা জর্জ ফ্লয়েডের ভাই সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
জর্জ ফ্লয়েডের ভাই টেরেন্স ফ্লয়েড বলেন, আমি এমন প্রতিবাদে ভীষণ গর্বিত, তবে আমি ধ্বংসযজ্ঞে মোটেও গর্বিত নই।আমার ভাই এমন ছিলনা।