যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে আঘাত হানা হ্যারিকেন লরায় এ পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। লুইজিয়ানায় ১০ জন ও টেক্সাসে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির। ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার বাতাসের বেগে আঘাত হানে হ্যারিকেন লরা। এতে রাজ্য দুটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে পাঁচ লাখের বেশি পরিবার। এসময় একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লান্টে কেমিক্যাল থেকে আগুনও ধরে যায়। ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে তাৎক্ষণিক অর্থ সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন লুইজিয়ানার গভর্নর জন বেল এডওয়ার্ডস।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, হ্যারিকেনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শনিবার ওই দুই রাজ্য সফর করবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
লুইজিয়ানা ও টেক্সাসে তাণ্ডব চালানো হ্যারিকেন লরা এখন শক্তি হারিয়ে ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত হয়েছে। তবে এর প্রভাবে কয়েকটি রাজ্যে ভারী বর্ষণ হচ্ছে।
এডওয়ার্ডস বলেন, তিনি লুইজিয়ানার ২৩টি প্যারিসেসে কেন্দ্রীয় বিপর্যয় ঘোষণার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পঞ্চম শক্তিশালী ঝড় ছিল হ্যারিকেন লরা। আর স্মরণকালের মধ্যে লুইজিয়ানায় এমন ভয়াবহ হ্যারিকেন হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন প্যারিসেসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে, হ্যারিকেন লরাকে ‘লুইজিয়ানায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়’ বলেও মন্তব্য করেছেন এডওয়ার্ডস।