যশোরে সাংবাদিক, ব্যাংক কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যসহ নতুন করে ৫৫ জনের কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ৩৩ জন। সিভিল সার্জন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ এই তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. রেহেনেওয়াজ জানান,বৃহস্পতিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টার থেকে পাঠানো ১৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাঠানো হয়। তাতে ৫৬ জনের করোনা শনাক্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শনাক্তদের ৫৫ জন নতুন ও ১ জন পুরাতন রোগী রয়েছেন। এরমধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ৩৩ জন, ঝিকরগাছা উপজেলায় ৬ জন, চৌগাছা উপজেলায় ৫ জন, মণিরামপুর উপজেলায় ৩ জন, কেশবপুর উপজেলায় ৪ জন ও অভয়নগর উপজেলায় ৪ জন। ডা. রেহেনেওয়াজ আরো জানান, এদিন দৈনিক স্পন্দনের নিজস্ব প্রতিবেদক সাজ্জাদ গনি খান রিমনসহ নতুন করে ২২ জন সুস্থ হয়েছেন।
জেনোম সেন্টারে পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে ১৫৫ জনের। সদর উপজেলায় আক্রান্ত ৩৩ জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, দৈনিক স্পন্দনের সাব এডিটর সিটি কলেজ পাড়ার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা মুন্না (৪০), ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের নজরুল ইসলাম (৬৫), নওয়াপাড়া রোডের জগেন্দ্র দাস (৬৪), লোন অফিসপাড়ার জাকারিয়া হাসান (২৩), স্টেডিয়ামপাড়ার কোহিনুর ইসলাম (৬০),
আশ্রম রোডের সাব্বির (২৮), শাহ আব্দুল করিম রোডের নাসরিন পারভীন (৩৬), ষষ্ঠিতলাপাড়ার স্বপ্না সাহা (২৮), নীলগঞ্জের বিমল কুমার রায় (৬০), ইভা রায় (৪৫), বেজপাড়ার তরুন কান্তি সাহা (৫২), চুড়ামনকাটির গ্রামের শাকিলা খাতুন (১৮), মোহাম্মদ শহীদ (২২), সোনালী ব্যাংক চুড়ামনকাটি শাখার হাফিজুর রহমান (৫৭), সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির আশিকুর রহমান (৫৯), বকচর এলাকার মেহেদী হাসান (৩৭), শেখহাটি গ্রামের ফজলুল হাসান (৪০), শাহ মখদুম (৩১), রামনগর ভাটপাড়ার মাহবুব হোসেন (৪০), ভেকুটিয়ার তৈয়ব (৫০), পাঁচবাড়িয়ার মো. আলাউদ্দিন লিটন (৪০) ও ভেকুটিয়া গ্রামের তৈয়ব (৫০)। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন,
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার ১২৯৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল এসেছে ১১৬৯৮ জনের। এরমধ্যে করোনা পজেটিভ ৩০৫৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৯১৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। এরমধ্যে ২ জন খুলনার হিসাবে রয়েছেন।