আজ থেকে এক মাস আগে গত ২ মে দেশে করোনাভাইরাসে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৫২ জন। সেই সংখ্যাটি এক মাস পর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯১১ জনে। এ ছাড়া মোট শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা এক মাস আগে ছিল ৮ হাজার ৭৯০ জন। যা এক মাস পর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৪৪৫ জনে।
এক মাস আগে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিল ৫ জন রোগীর। আর এক মাস পর আজ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৭ জন করোনা রোগী। গত ২ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট মৃত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৭৭ জন। আজ পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০৯ জন। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও ৫ হাজার ৮২৭ থেকে বেড়ে ১২ হাজার ৭০৪-তে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে গত একদিনের ব্যবধানে দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্তের নতুন রেকর্ড স্থাপিত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশের সর্বমোট ৫২টি আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৪ হাজার ৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১২ হাজার ৭০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৯১১ জনকে কোভিড-১৯ রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। উক্ত সময়ে আরো ৩৭ জন রোগী ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আর প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী মৃত্যুবরণ করেন গত ১৮ মার্চ।
এর মধ্যে শুধু গত একদিনের শনাক্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় প্রতি মিনিটে দুই জন করে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন এবং প্রতি দুই ঘণ্টায় তিন জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
উক্ত সময়ে যে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১০ জন, চট্টগ্রামের ১৫ জন, সিলেটের ৪ জন, বরিশালের ৩ জন, রাজশাহীর ২ জন, রংপুরের ২ জন, ময়মনসিংহের ১ জন এবং খুলনার ১ জন।
বয়স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী চার জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৯ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ১০ জন এবং ৮১ থেকে ৯ বছর বয়সী দুই জন।