ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় গত পাঁচ মাসে মারা গেছে ৩৭ জন। নিহতদের মধ্যে মেডিকেলের ছাত্র, শিশু ও অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে। বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো, অসতর্কতা ও অদক্ষতাই এ সব দুর্ঘটনার মুল কারণ বলে ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ মনে করে।
পুলিশের রেকর্ড ও পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে ২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে মে মাস পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচে বেশি প্রাণ হারিয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১২ জন। এছাড়া মহেশপুর উপজেলায় ১০ জন, শৈলকুপায় ৮ জন, হরিণাকুন্ডুতে ২ জন, কোটচাঁদপুরে ৩ জন ও কালীগঞ্জে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সড়কে প্রতি মাসে মৃত্যুর গড় হার ৭.৪।
সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক সালাহউদ্দীন জানান, পুলিশ সব সময় দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। ড্রাইভারদের আমরা সচেতন করতে মোটিভেশন সভা করছি। তারপরও সড়কে দুর্ঘটনা থামছে না।
তিনি মনে করেন যানবাহনের গতি বৃদ্ধি ও বেপরোয়া চলাচলই দুর্ঘটনার মুল কারণ। তিনি বলেন আইন প্রয়োগ, জেল জরিমানা ও সচেতনতা বৃদ্ধির পরও মহাসড়কগুলো সুরক্ষিত করা যায় নি। থ্রি হুইলার, নছিমান, করিমনসহ নানা ধরণের যানবাহন সড়ক মহাসড়কে চলাচল করছে। তাছাড়া ভাল সড়কে গতি বৃদ্ধি করে ড্রাইভাররা গাড়ি চালান।
এতে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে প্রাই দুর্ঘটনা ঘটে। সব সময় ষাটের নিচে গতি রাখতে না পারলে দুর্ঘটনা কমোনা সম্ভব নয় বলেও ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা অভিমত ব্যাক্ত করেন।