1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ-ওবায়দুল কাদের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর আজ ২ মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত র‌্যাবের নয়া মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ছয় দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড গমন “নব যৌবন এবং আমাদের সংস্কৃতি “ ন্যক্কারজনক  ঘটনার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মানবিকতায়ও নজির স্থাপন করেছে-ডিএমপি কমিশনার কাতারকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

গাজীপুরে ছয় মাসে ১০ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই

  • সময় : সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০
  • ২৪৯

গাজীপুরে গত ছয় মাসে ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে শিল্পাঞ্চল পুলিশ জানিয়েছে।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ সুপার মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, দুই হাজার ৭২টি বিভিন্ন কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় ১৫ লাখ ৮ হাজার ৪০৪ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। এর বাইরে গত ছয় মাসে এসব কারখানা থেকে ১০ হাজার ৭৩৬ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “বিভিন্ন সংকটের কারণে এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত এই ছাঁটাই হয়। তাদের মধ্যে করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ই বেশি শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছেন।”

গাজীপুরে বিজিএমইএর ৮৩০টি, বিকেএমইএর ১৩৮টি, বিটিএমইএর ১২২টি ও অন্যান্য সংগঠনের আরও ৯৮২টি কারখানা রয়েছে। সেখানে বর্তমানে ১৫ লাখ ৮ হাজার ৪০৪ জন শ্রমিক কাজ করছেন।

গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, শ্রমিক ছাঁটাই অমানবিক। কিন্তু মহামারীর কারণে শ্রমিকরা তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য জোরদার আন্দোলন করতে পারছেন না। এই সুযোগে মালিকরা নানা অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই করছেন, যা খুবই উদ্বেগজনক।

বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মো. ফয়সাল সামাদ এর জন্য করোনাভাইরাস মহামারীকে দায়ী করেছেন।

তিনি বলেন, পোশাক শিল্পে ক্রান্তিকাল চলছে। পণ্যের অর্ডার বাতিল ও কমে যাওয়ায় অনেক কারখানা মালিক আর্থিক চাপে পড়ে উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছেন। অনেকে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। জনবল বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ কারখানা কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যাপার। তবে কারখানায় শ্রমআইন অনুসরণ হয় কিনা এবং শ্রমিকদের বকেয়া ও অন্য সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি বিজিএমইএ নিশ্চিত করে থাকে।

এ বিষয়ে শ্রমিক বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, “এটা একটা নিষ্ঠুর বাস্তবতা। মহামারীর কারণে পোশাকশিল্পের বাজার সংকুচিত হচ্ছে। দরপতন হচ্ছে। এক্ষেতে আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানার মালিকরা তাদের সক্ষমতা ধরে রাখতে পারছেন না।

“সরকার যদিও আমাদের জন্য অনেকগুলো প্যাকেজ দিয়েছে। তার সুবিধা বা সুফল এখনও অনেকের কাছে পৌঁছায়নি। ফলে শ্রমিকদের ধরে রাখতেও পারছেন না, বসিয়ে রাখতেও পারছেন না মালিকরা। এখন আমাদের মূল কাজ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজার ধরে রাখা, সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এখন টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্চ। তাই বলে চাকুরিচ্যুতিকে আমি সমর্থন করছি না। এ সংকট শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা পৃথিবীতেই এখন এটা হচ্ছে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪