তাকে তার ভক্তরা বাংলাদেশের রনবীর সিং বলে ডাকেন। দুর্দান্ত স্মার্ট, নাচ,ফাইট জানা এবং অভিনয় অন্তপ্রান এই অভিনেতার। ২০০৭ এবং ২০০৯ সালে বডি বিল্ডিং এ মিঃ বাংলাদেশের শিরোপা জেতেন স্যাঞ্জ জন।
বাংলাদেশের মিডিয়ায় তখনও সিক্সথ প্যাক মডেলদের আনাগোনা শুরু হয়নি, জিমে এবং বাইরের আড্ডায় কাছের মানুষরা প্রায়ই মডেল মডেল বলে ক্ষেপাতেন। তাই আস্তে আস্তে নিজে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলেন। টুকটাক মডেলিং শুরু করলেন, ভালো রেসপন্স পেলেন। আগ্রহ বেড়ে গেল, নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে তৈরি করতে কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে লম্বা রেসের জন্য তৈরি করলেন।
অনুভব করলেন এই আলো ঝলমলে রঙিন ইন্ডাস্ট্রিতে শর্টকাট বলে কিছু নেই। তাই ভলোকাজের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন, এলেবেলে কাজগুলোকে বিনয়ের সাথে না করতে লাগলেন স্যাঞ্জ জন। প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা কিশান চলচ্চিত্র প্রযোজিত, কিশোর সাহা পরিচালিত “বাংলার পাগলু ” এরপর একে একে “স্টোরি অফ সামারা, আমি তোমার হতে চাই, ঢাকা এ্যাটাক” সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে অনন্য মামুনের” বন্ধন” ইফতেখার চৌধুরীর নিলীমা।
২০১৫ সালে সঙ্গীত শিল্পী শফিক তুহিনের গাওয়া এবং চন্দন রয় চৌধুরীর পরিচালনায় “বেহায়া মন” গানের মিউজিক ভিডিওতে তার পারফরম্যান্স সবাইকে মুগ্ধকরে।২০১৭ সালের সুপার হিট সিনেমা ঢাকা এ্যাটকে একটি আইটেম সং ” টিকাটুলির মোড়ে” গানটি এখনো সুপারহিটের তালিকায় আছে।
গানটিতে স্যাঞ্জ জনের দুর্দান্ত নাচ দর্শকদের ব্যপকভাবে বিনোদিত করেছে। অনেকেই শুধু গানটি দেখার জন্য সিনেমে হলে ঢুকেছেন। স্যাঞ্জ জন জানান এটিই একজন শিল্পীর আত্মতৃপ্তি। নতুন কাজ সম্পর্কে এই অভিনেতা জানান, চমক নিয়ে ফিরছি। এখনি খুব বেশি কিছু জানাতে নারাজ তিনি, শুধু জানালেন বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই দর্শকদের সামনে আসবেন।
পাশাপাশি বেশকিছু ভালো সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়ে চড়ান্ত হয়েছে। সার্বিক অবস্থার উন্নতি হলেই শ্যুটিং শুরু করবেন।