ওয়ারী লকডাউন এলাকায় যারা করোনা পরীক্ষা করছেন, তাদের ৫০ শতাংশের মধ্যেই করোনা সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে।আজ নগর ভবনে অনুষ্ঠিত লকডাউন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এলাকাবাসীকে ধৈর্য্য ও সহনশীলতার সাথে লকডাউন বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
মেয়র বলেন, গত তিন দিনে ওয়ারী এলাকায় করোনা সংক্রমণের যে হার দেখেছি সেটা লকডাউনের যৌক্তিকতাকে আরও তুলে ধরেছে।তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি নমুনা সংগ্রহের প্রায় ৫০ ভাগের বেশি মানুষের সংক্রমণ ধরা পড়ছে। তাই লকডাউন কঠোরভাবে পালন করতে হবে। তাহলে আমরা এলাকাটাকে করোনামুক্ত করতে পারব। তারপর সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেটা পালন করবো।’ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘আমরা আরও একটু কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছি। আমরা বুঝি এলাকাবাসীর অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাদের জীবিকা নির্বাহসহ ব্যবসা বাণিজ্য ও চলাফেরার অনেক অসুবিধা হচ্ছে।
আমি অনুরোধ করবো আপনারা ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে সেটা পালন করবেন। এই করোনা মহামারি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে যেসব নির্দেশনা ও বিধি দেয়া হয়েছে, সেগুলো সবাইকে পরিপালন করা খুবই আবশ্যক।’সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, লকডাউন এলাকার যেসব ত্রুটি বিচ্যুতি ধরা পড়ছে, সেটা আমলে নিচ্ছি। এজন্য আমরা প্রতি সপ্তাহে একটি করে সমন্বয় সভা করবো। বিষয়টি কঠোরভাবে পালন করা হবে।করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ৪ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ২১ দিনের জন্য রাজধানী ওয়ারী এলাকার একাংশে লকডাউন চলছে। লকডাউন চলবে আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত।
ওয়ারীর যেসব রোড ও গলি লকডাউনের অধীনে রয়েছে সেগুলো হলো- টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন)। গলিগুলো হলো- লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র্যাংকিন স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট।